ধানের নায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ দিনাজপুরের কৃষক

Share Now..


বোরো ধানের ভরা মৌসুমে হাটবাজারে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। ধানের ভালো দাম না পাওয়ার জন্য তারা ধান ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন।

জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ২৯১ মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ জমির ধান মাড়াই শেষ হয়ে গেছে।

উপজেলার অম্রবাড়ী গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন ফুলবাড়ীর ধানহাটিতে ১০ বস্তা ব্রি-২৯ জাতের ধান বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ধানের ফলনে খুশি হলেও ধান বিক্রি করতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মুক্তারপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলী বলেন, সকালে ৬ মণ ধান বিক্রি করতে এনেছেন। কিন্তু ধান একটু কাঁচা থাকায় ৯২০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। গত এক সপ্তাহ যাবৎ বাজারে ধানের দাম কম। ভরা মৌসুমে ধানের আমদানি প্রচুর হলেও ব্যবসায়ীরা ধান কিনছেন খুবই কম পরিমাণ। ফলে অনেক কৃষক ধান বিক্রি না করে বাধ্য হয়ে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।ফুলবাড়ীর জোতবানী গ্রামের লিনন হোসেন বলেন, ২৯ জাতের ৪৭ বস্তা ধান বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও চাহিদানুুযায়ী দাম না পেয়ে বাধ্য হয়ে ১ হাজার ৪৫ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছিউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, এ বছর বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না আসায় এবং রোগবালাই না হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন যেহেতু সরকারি গুদামে ধান কেনা শুরু হয়েছে, তাই ভালো দামে সরকারি গুদামেই ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

229 thoughts on “ধানের নায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ দিনাজপুরের কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *