নতুন বিশ্ব গড়তে চান জিনপিং-পুতিন
ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার চাপান-উতোর বেড়েই চলছে। এ পরিস্থিতিতে বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাম না করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রপক্ষকে জোরালো বার্তা দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চীন সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমের বেশির ভাগ দেশই যখন অলিম্পিকে তাদের প্রতিনিধি পাঠাননি, তখন ব্যতিক্রমী বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের বন্ধু মস্কো।যে বন্ধুত্বের সীমা নেই২০১৯ সালের পরে এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনায় বসলেন শি ও পুতিন। বৈঠক শেষে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে নেতিবাচক উল্লেখ করে একটি কৌশলগত নথি প্রকাশ করা হয়।
সেখানে বলা হয়, প্রতিটি পক্ষ ন্যাটোর পরিসর বাড়ানোর বিরোধিতা করে এবং এই সংগঠনকে শীতল যুদ্ধকালীন আদর্শিক ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানায়। অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্বার্থের সম্মান জানানোর আহ্বান করা হয় নথিটিতে।
যৌথ বিবৃতিতে চীন-রাশিয়ার একটি নতুন কৌশলগত বন্ধুত্ব ঘোষণা করা হয়েছে যার কোনো সীমা নেই এবং সহযোগিতার নিষিদ্ধ ক্ষেত্র নেই। যৌথ বিবৃতিতে এক দিকে যেমন ‘দুই দেশের বন্ধুত্ব ও কৌশলগত সম্পর্কের অগ্রগতির’ কথা বলা হয়েছে, তেমনি নাম না করে ‘কিছু দেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করে থাকে’ বলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধু দেশগুলির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়েছে, তাইওয়ান আসলে চীনা ভূখণ্ডেরই অংশ এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার দাবি তারা কখনোই মানবে না। চীন ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতির বার্তাও দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন পুতিন। বৈঠকে নেতারা যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী একটি কৌশলগত জোট উন্মোচন করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নতুন বিশ্ব গড়ার দিকে শি ও পুতিন
আর্টিওম লুকিনের মতে, রাশিয়ার অর্থনীতি এখন চীনের ১০ ভাগের এক ভাগ। ফলে চীনকে পেছনে ফেলার সুযোগ নেই। চীন সুপারপাওয়ার হলে হয়তো রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে চীন যথেষ্ট স্মার্ট যে আমেরিকার মতো ভুল করবে না।