নাঈম-মিলির ‘বেহুলা পরম্পরা’
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘বেহুলা পরম্পরা’। স্বাধীন শাহর রচনা এটি পরিচালনা করেছেন বর্ণ নাথ। এ নাটকে জুটিবদ্ধ হয়েছেন নাটকে বেহুলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহানা মিলি। এফ এস নাঈমকে দেখা যাবে রামনাথ চরিত্রে। তাদের সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন শহীদুল্লাহ সবুজ, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ।
গল্পে দেখা যাবে, দরিদ্র ঘরের মেয়ে বেহুলা। দূর্গাপুর গ্রামের জোতদার কাশিনাথের ছেলে রামনাথের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বাসর ঘরে হঠাৎ রামনাথ পাগলামী করতে থাকে। ছোট ভাই চন্দ্রনাথের ঘরের দরজায় গিয়ে চিৎকার করে। বাবা এসে তাকে বকাবাকি করে। বেহুলা ভয় পেয়ে যায়। মা সুলেখা দেবী দূরে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলে। কিছুক্ষণ পর চন্দ্রনাথ এসে যখন ড্রাগস দেয় তখন রামনাথ শান্ত হয়। বেহুলা বুঝে ফেলে একজন নেশাখোর স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে হবে তার।
রামনাথ কাশিনাথের নিজের সন্তান নয়। কাশিনাথ যে সম্পত্তির ওপর দাঁড়িয়ে জোতদারগিরি করে সেগুলো সব সুলেখার সম্পত্তি। কাশিনাথ ছিল রামনাথের বাবার পালিত ভাই। রামনাথের বয়স যখন দুই বছর তখন তার বাবা মারা যায়। সেই সময় রামনাথের ঠাকুরদা সুলেখার নামে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেয়। মূলত সম্পত্তির জন্যই বাবা, ছেলে মিলে রামনাথকে শেষ করে দিতে চায়।
এই পরিস্থিতিতে শাশুড়ি সুলেখা বেহুলার পাশে দাঁড়ায়। রামনাথকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানায়। বেহুলা চেষ্টা করে রামনাথকে নেশা থেকে ফেরাতে। রামনাথকে নিয়ে শহরে যায়। যাওয়ার সময় প্রতিজ্ঞা করে যায় যদি রামনাথকে সুস্থ করতে পারে তবেই তারা বাড়িতে ফিরে আসবে।
এদিকে, কাশিনাথ আর চন্দ্রনাথ মিলে সুলেখাকে বলে, রামনাথ আর সুস্থ হয়ে আসতে পারবে না তাই সম্পত্তি চন্দ্রনাথের নামে লিখে দিতে। কিন্তু বেহুলা ঠিকই রামনাথকে সুস্থ করে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রচার হবে নাটকটি।