নিখোঁজের ৮ দিন পর ৫ জেলের জীবিত সন্ধান
কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরের মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজের ৮ দিন পর ৫ জেলের জীবিত সন্ধান মিললো। তারা মিয়ানমারের কোস্ট গার্ড বাহিনীর হাতে পড়ছেন বলে জানা জানিয়েছেন নিখোঁজ জেলে হেলালের বাবা মোহাম্মদ উল্লাহ।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে মোহাম্মদ উল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান
নিখোঁজরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের হাজমপাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে মো. আয়ুব (৪০), রহমত উল্লাহর ছেলে মো. রফিক (২৫), মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ হেলাল (১৭), মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৭) ও মাথা ভাঙার নাজির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আলম (৫০)।
মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে মোহাম্মদ হেলালসহ ৫ জেলে ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলার করে টেকনাফের নোয়াখালী ঘাট থেকে সাগরে মাছ ধরতে গেছেন। তারা যাওয়ার পর সকালে কল করে জানায় তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে।
তখন তারা সাহায্য চাইলে কয়েকটি নৌকা সাগরে পাঠানো হয়েছিল। তখন তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা নিখোঁজের ৭ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ৮ দিনের মাথায় রোববার বিকাল ৩টার দিকে মোহাম্মদ হেলাল কল করে জানায়, তারা মিয়ানমারের কোস্ট গার্ডের হাতে পড়েছেন। কোস্ট গার্ড সদস্যরা সাগর থেকে তাদের উদ্ধার করে বর্তমানে তাদের হেফাজতে রেখেছেন।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ৫ জেলেকে মিয়ানমার কোস্ট গার্ড বাহিনী পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা বর্তমানে মিয়ানমারের মংডু অঞ্চলে সে দেশের বাহিনীর হেফাজতে আছেন বলে জানতে পেরেছি।
অপরদিকে গত ৩ নভেম্বর বাহারছড়া ২ নম্বর পুরানপাড়া ৬ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল।এখনো তাদের খোঁজ মেলেনি। তাদের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতন।
নিখোঁজ সেলিম উল্লাহর ছোট ভাই মো. রফিক বলেন, আমার বড় ভাই সেলিম উল্লাহসহ ৫ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে গেলে তারা আর ফেরত আসেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। বড় ভাইয়ের পরিবারের ৬ সন্তান মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।