নিজেকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা করছেন না সাকিব

Share Now..

গতকাল সারা দিনই ঢাকার আকাশ মেঘলা। দিন জুড়ে হয়েছে আষাঢ়ের বৃষ্টি। এর মধ্যে সদ্য শেষ হাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেমন করেছেন টাইগাররা। এছাড়াও আসন্ন পরিকল্পনা নিয়ে গতকাল বৃষ্টিস্নাত বিসিবির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ১১তম বোর্ড মিটিং।

অন্যদিকে একই সময় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে দেশ ছাড়েন টাইগার তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সেখানে সদ্য শেষ হওয়ার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফলাফল নিয়ে সাকিব বলেন, ‘হয়তো অলআউটে খেলতে পারিনি। যে ধরনের ফলাফল আশা করছিলাম সেরকম খেলতে পারিনি। আমাদের হয়তো যে লক্ষ্য ছিল সেটা পূরণ হয়েছে। সেই দিক থেকে আমরা সফল। তবে যে অবস্থানে ছিলাম যেখানে যাওয়ার সুযোগ ছিল সেই জায়গাটাতে আমরা যেতে পারিনি সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য হতাশাজনক।’ কী কারণে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি জানতে চাইলে তিনি জবাবে বলেন, ‘এটা তো বলা মুশকিল। আমি নিশ্চিত যারা নীতিনির্ধারক তারাই ভালো বের করতে পারবে। কোচ, অধিনায়ক, দলের সঙ্গে আরো যারা রয়েছেন এছাড়া ক্রিকেট অপারেশন্স বোর্ড এরাই সিদ্ধান্ত নেবে। তারাই আলাপ আলোচনা করে বুঝতে পারবে যে, কোন ঘাটতিগুলো ছিল এবং ভবিষ্যতে যাতে এগুলো থেকে মুক্তি মেলে।’

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেরর পরবর্তী বিশ্বকাপ দুই বছর পর। ২০২৬ সালের ঐ আসর অনুষ্ঠিত হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। ঐ আসরেও সাকিব খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও বর্তমানে তার বয়স ৩৭, তাই না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। এ নিয়ে দেশসেরা অলরাউন্ডার বলেন, ‘নিজেকে নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। যেটা আছে সেটা হলো দুটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে আমার সামনে। একটা হলো মেজর ক্রিকেট লিগ, যেটার জন্য এখন যাচ্ছি। আরেকটা হচ্ছে কানাডা গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি। পর পর এই দুইটা টুর্নামেন্ট খেলে দেখি নিজের কী অবস্থা। এরপর দেশের জন্য তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেটা আছে-পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। তো আপাতত পরিকল্পনা এতটুকুই। নিজেরও বোঝার ব্যাপার আছে। কেননা এখন অত সময় নেই যে, আগামী তিন-চার বছরের পরিকল্পনা করা। তিন মাস, ছয় মাসের পরিকল্পনা করাই ভালো।’

এছাড়াও বিশ্বকাপে দলে ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, ‘যেটা হচ্ছে যে কঠিন ছিল ব্যাটারদের জন্য সে জায়গাটাতে। অন্ততপক্ষে আমি এমন কোনো নাম দেখিনি যে, একটা খেলোয়াড় পুরো আসর জুড়েই ধারাবাহিক ভালো খেলেছে। কিন্তু অন্য বিশ্বকাপগুলোতে সাত-আট জনের নাম বলা যাবে। এই বিশ্বকাপে সেটা নেই। কেউ কেউ এক ম্যাচ দুই ম্যাচ ভালো খেলেছে ঐটাতে ভর দিয়েই জয় পেয়েছে, আমরাও পেয়েছি। তবে প্রতিটা দলই বোলিং খুবই ভালো করেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *