নিজের কোন জমি নেই, অন্যের জমি দখল করে বসবাস
\ ঝিনাইদহ অফিস \
ঝিনাইদহের হলিধানীতে অন্যের জমি দখল করে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। নিজের কোন জমি না থাকলেও ৪নং হলিধানী ইউনিয়নের ৪৫নং মৌজার ৫১৮নং দাগে ৬ শতক জমিতে জোর করে বসবাস করছে দখলদার রানা। ওই জমিতে এল আকৃতির ঘর করার পরে দখলদার রানা বাড়িসহ জমি দখল করে। জানা যায়, ঢাকা গুলশান নতুন বাজার বস্তিতে বসবাস করতো রানা। সেখান থেকে বিভিন্ন সমস্যার কারণে ২০১২ সালে হলিধানী এলাকায় আসেন। অসহায় অবস্থায় কি করবে, কোথায় যাবে ভেবে পাচ্ছিলেন না। তখন এমদাদুল হক ৫১৮নং দাগে ৬ শতক জমির উপর তার করা এল আকৃতির আধাপাকা বাড়িতে থাকতে দেয়। কথা ছিলো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নতুন জায়গায় চলে যাবেন। কিন্তু তার এই সরলতার সুযোগ নিয়ে রানা ওই জমি এবং বাড়ি নিজের বলে দাবী করেন। যা আজ পর্যন্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি রানা। আরো জানা যায়, রানার দাদীর নামে অল্প কিছু জমি ছিল পাশের ৫১৯নং দাগে। সেই জমি রানার দাদী ১৯৯৯ সালে অন্যত্র বিক্রয় করে দেয়। অথচ দাদীর ওয়ারেশ সূত্রে ওই জমির মালিক দাবি করা রানা জানেই না যে তার দাদী ওই জমি বিক্রয় করে দিয়েছে। তারপরও রানা ৫১৯নং দাগে দখল না করে সহজ সরল মানুষ এমদাদুল হকের জমি দখল করে বসবাস করছে। যা একজন ভূমি দখলদারের পরিচয় দেয়। দখলদার রানা প্রতিবেদককে জানান, এই জমি তার দাদীর। সেই সূত্রে তিনি ওয়ারেশ। দাদীর জমি হওয়ায় বাড়ি করে বসবাস করছেন। কিন্তু কিছু লোক ওই জমিতে বসবাস করার পর থেকেই সমস্যা করে আসছে। ৫১৮নং দাগে তাদের কোন জমি নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটা তিনি জানেন না। তবে তার কাছে কিছু জমির কাগজপত্র আছে। দাদীর ফারাজ ভাগ করলে সব জায়গাতেই অল্প কিছু জমি পাবেন বলে দাবী করেন তিনি। ভুক্তভোগী জমির মালিক এমদাদুল হক জানান, ৫১৮নং দাগে ১৫ শতক ও ৫১৯নং দাগে ১৭ শতক মোট ৩২ শতক জমির মধ্যে ৫১৮নং দাগের ৬ শতক জমি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, রানা আগে ঢাকাতে থাকতেন। সেখানে সমস্যা হওয়ার কারনে হলিধানী গ্রামে আসে। সে কোথাও থাকার জায়গা পাচ্ছিল না। পরে অসহায় দেখে ৫১৮নং দাগে ৬ শতক জমিতে এল আকৃতির ঘরে তাকে থাকতে দেওয়া হয়। এর দুই তিন বছর পর সে জমি ও ঘর ছেড়ে তো দেয়নি আবার এখন দাবি করছে এটি তাদের দাদির জমি। তার দাদীর ৫১৯নং দাগে কিছু জমি ছিল। কিন্তু তার দাদী ১৯৯৯ সালে ওই জমি বিক্রয় করে দেয়। এখন তাদের কোন জায়গা জমি নেই। গায়ের জোরে, হত্যার হুমকি দিয়ে জোর করে আমার জমি দখল করে বসবাস করছে। এর সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী করেন এমদাদুল হক। এ বিষয়ে কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই বনি-আমিন বলেন, ওই জমি নিয়ে থানায় বসাবসি হয়েছে। তেমন কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি রানা। পরে সে সবার কাছে পুনরায় বসাবসির জন্য সময় নেই। পরবর্তীতে বসলে ওই জমির সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছি।