নীতার লেহেঙ্গায় মন্দির, ব্লাউজে পরিবার

Share Now..

ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বনিপত্নী নীতা আম্বানী বিলাসী সাজ-পোশাকের জন্য সবসময়ই চর্চায় থাকেন। ছেলের বিয়েতেও তিনি ছিলেন লাইমলাইটে। অনন্ত রাধিকার বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠানেই সাবেক পোশাকে নজর কেড়েছেন নীতা। সঙ্গীত, মেহেন্দি, গায়েহলুদ, বিয়ে, বিদাই—নীতার প্রতি দিনের পোশাকেই ছিল কোনও না কোনও চমক। তবে দ্বিতীয় দিনে নীতার অসাধারণ লুকটি নিয়ে নেটিজেনরা রীতিমত মুগ্ধ।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনন্ত-রাধিকার আশীর্বাদের অনুষ্ঠানে নীতার পরনে ছিল গোলাপি রঙের জারদৌসি লেহেঙ্গা। সেই সাজের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় দিকটি ছিল ব্লাউজ়ের নকশা। বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে নীতার পোশাকটি নকশা করেন ডিজাইনার আবু জানি ও সন্দীপ খোসলা।

ডিজাইনার নীতার জমকালো সাজের সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। এই ছবিতে তার চমৎকার ব্লাউজের ডিজাইনের বিবরণও দিয়েছেন আবু জানি।

তিনি জানান, নীতার ব্লাউজে তার সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নাম হ্যান্ড এমব্রয়ডারি করা হয়েছিল। ইশা, আকাশ, অনন্ত, কৃষ্ণ, আদিয়া, পৃথ্বী এবং বেদ এদের সকলের নাম রঙিন হাতির মোটিফের আশেপাশে হিন্দিতে লেখা ছিল।

নীতার এই রত্নখচিত ব্লাউজে রয়েছে ঝুমকা, ট্যুইঙ্কলিং সিক্যুয়েন্স এবং দক্ষ কারিগরদের হাতের কাজ ও তার উপর মূল্যবান পাথর। 

আম্বানিপত্নীর ব্লাউজটি ঐতিহ্য এবং আধুনিক শিল্পকলার সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছিল। আর ঘাগরাটিতে ফুটে উঠেছিল কাশীর স্থাপত্য ও মন্দির। এই স্থাপত্য ও মন্দিরের নিক্সাগুলি সোনা ও জারদৌসি দিয়ে সূচিকর্মের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। 

তাছাড়া গুজরাটি শাড়িটি গোলাপী ওড়নার মতো করে তার পুরো লুকটি সম্পূর্ণ করেছিলেন। এই শাড়ির সঙ্গে নীতা আম্বানি বীরেন ভগতের ডিজাইন করা একটি সেট বেছে নিয়েছিলেন। এই সেটটিতে মূলত পান্না দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। সমস্ত গয়নাগুলিতে পান্নার ব্যবহার ছিল। 

পোশাকের সঙ্গে নীতা ভারী নেকলেস, টিকলি, কানের দুল, একটি বাজুবন্ধ এবং একটি বিশাল আংটি পরেছিলেন। সঙ্গে সেজে উঠেছিলেন গোলাপি আভায়। 

চোখ গোলাপি রঙের আইস্যাডো ও হালকা করে কাজল পরে মাস্কারা দিয়ে ছিলেন। ঠোঁটে গোলাপী রঙের লিপস্টিক দিয়েছিলেন। সঙ্গে মাথায় পার্টেড মেসি বান করে একটি পান্নার কাজ করা হেয়ারপিন পরেছিলেন।

নীতা আম্বানি এবং মুকেশ আম্বানি তিন সন্তানের বাবা-মা। তারা হলেন ইশা আম্বানি, আকাশ আম্বানি এবং অনন্ত আম্বানি। অনন্ত সম্প্রতি রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন, অন্যদিকে ইশা আনন্দ পিরামলের সঙ্গে বিয়ে করেছেন।

আকাশের স্ত্রী হলেন শ্লোকা মেহতা। ইশা এবং আনন্দের যমজ সন্তান রয়েছে- আদিয়া এবং কৃষ্ণ। অন্যদিকে, আকাশ এবং শ্লোকারও দুই সন্তান রয়েছে বেদ এবং পৃথ্বী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *