নেপালে যত ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

Share Now..


নেপালের একটি বিমান পোখারা বিমানবন্দরে আজ রোববার সকালে ৭২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে আরও মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে উদ্ধারকর্মীরা। দেশটিতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা প্রায়শই ঘটে আসছে। নেপালে ঘটে যাওয়া যত বিমান দুর্ঘটনা:

মে ২০২২

পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী টুইনঅটার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২ জন নিহত।

এপ্রিল ২০১৯

লুকলা বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি হেলিকপ্টারের সাথে সামিট এয়ারের একটি বিমানের সংঘর্ষে তিন জন নিহত।

ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এয়ার ডাইনাস্টির একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত। নিহতদের মধ্যে তৎকালীন সংস্কৃতি, পর্যটন ও বিমান চলাচল মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারীও ছিলেন।

সেপ্টেম্বর ২০১৮

গোর্খা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এয়ার অলটিচ্যুডের একটি হেলিকপ্টার জঙ্গলের মধ্যে বিধ্বস্ত হলে ছয়জন নিহত হয়। এদের একজন ছিলেন এক জাপানী পর্যটক।

মার্চ ২০১৮

বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ৫১ জন নিহত হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পোখারা থেকে জমসম যাওয়া তারা এয়ারের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৩ জন নিহত।

জুন ২০১৫

ডক্টর্স উইদআউট বর্ডার্সের ভাড়া করা হেলিপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে চার জন নিহত। তারা ভূমিকম্প পরবর্তী ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন।

মে ২০১৫

ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে নিয়োজিত মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত। ছয়জন আমেরিকান সৈন্য, দুইজন নেপালী সৈন্য এবং ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত।

মার্চ ২০১৫

একটি তুর্কী বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়লে ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চারদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।

ফেব্রুয়ারি ২০১৪

পোখারা থেকে জুমলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া নেপাল এয়ারলাইন্স কর্পোরেশনের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮ জন নিহত।

সেপ্টেম্বর ২০১২

কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সিতা এয়ারের বিমান ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা উনিশ জনের সবাই নিহত হয়।

মে ২০১২

পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশ্যে ভারতীয় তীর্থযাত্রী বহনকারী অগ্নি এয়ারের একটি বিমান বিধ্বস্ত। উনিশ জন নিহত।

সেপ্টেম্বর ২০১১

বুদ্ধা এয়ারের একটি বিমান কাঠমান্ডুর কাছে বিধ্স্ত। চৌদ্দ জন নিহত, যাদের মধ্যে নেপালী, ভারতীয় ও অন্যান্য দেশের নাগরিকেরাও ছিলেন।

ডিসেম্বর ২০১০

লামিডান্ডা থেকে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯ জন যাত্রী ও তিন জন ক্রু নিহত।

অগাস্ট ২০১০

কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বিমান বিধ্স্ত হয়ে ১৪ জন নিহত।

অক্টোবর ২০০৮

লুকলা বিমানবন্দরে একটি বিমান অবতরণের সময়ে বিধ্বস্ত হলে ১৮ জন নিহত হয়। একজন আহত।

সেপ্টেম্বর ২০০৬

শ্রী এয়ারের হেলিকপ্টার বিধ্স্ত হয়ে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তখনকার বন ও ভূমি রক্ষা প্রতিমন্ত্রী গোপাল রাই, পরিবেশবিদ ড. হার্ক গুরুং, ড. সিবি গুরুং ও তীর্থমান মাস্কে।

One thought on “নেপালে যত ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *