পদত্যাগ করলেন বরিস

Share Now..


অবশেষে চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপাতত পদে থাকছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি গ্রীষ্মে কনজারভেটিভ পার্টির একজন নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে এবং অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনের সময় নতুন কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

এই সময় পর্যন্ত জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকবেন।

গত মাসে বরিসের বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস। মঙ্গলবার বরিসের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদের ইস্তফা দেওয়ার পর দেশটির এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এরপরেই একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজের পদত্যাগের কথা জানালেন বরিস।

২০১৯ সালে বরিস জনসন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন। কিন্তু গত ২ বছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেংকারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন।

বিশেষ করে করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর ঘিরে সমালোচনার সৃষ্টি। তাতে অনেকটা পার পেয়ে গেলেও সর্বশেষ দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর।

দেশটির এক এমপি’র বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগকে ঘিরে বরিস জনসনের এই সর্বশেষ সংকটে পড়েছে। কনসারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজনের ওপর যৌন হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও কেন জনসন পিঞ্চারকে ডেপুটি চিফ হুইপ নিয়োগ করেন- এটি নিয়েই মূলত তোপের মুখে পড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *