পদ্মার পাড় ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে স্বামী, লাশের অপেক্ষায় স্ত্রী

Share Now..


রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর পাড় ভেঙে মজাহার হোসেন নামে এক বৃদ্ধের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে গত ১২ ঘণ্টাতেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বামীর লাশ ভেসে উঠবে এ অপেক্ষায় নদীর পাড়ে বসে আছেন স্ত্রী মজিরণ।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চৌমাদিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, গত প্রায় ২০ দিন ধরে নদীতে পানি বাড়ছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতোমধ্যে অনেক ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই তাদের বসত ভিটা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। তাদেরই একজন মজাহার হোসেন (৫৩)। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার সময় ভেঙে ফেলা বসতভিটা দেখতে এসে নদীর পাড়ে দাঁড়ান। এ সময় পাড় ভেঙে পানিতে তলিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা পুলিশ এবং শুক্রবার সকালে বাঘা ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, নদীতে এখন অনেক স্রোতে। মজাহার হোসেন এর লাশ কোথায় কখন ভেসে উঠবে সেটা বলা মুসকিল। অনেকেই ধারণা করছেন এ লাশ হয়তো আর কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে লাশ পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় নদীর পাড়ে এসে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন তার স্ত্রী মজিরণ।

ভাঙন কবলিত পদ্মার পাড় থেকে প্রত্যক্ষদর্শী আওলাদ দেওয়ান ও আমিরুল ইসলাম জানান, ঐ বৃদ্ধকে তারা বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার সময় নদীর পাড়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন। চোখের নিমিষে নদীর পাড় ভাঙন সহ তার চিৎকার শোনা যায়। এরপর তারা সহ প্রতিবেশী লোকজন নৌকা এবং জাল নিয়ে অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও মজাহার হোসেনের সন্ধান মেলেনি।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডি.এম মনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, আগে থেকেই ভাঙন চলছিল। বর্তমানে পানি বৃদ্ধির সাথে ভাঙন পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর মতে, মজাহার হোসেন পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়াটি মর্মান্তিক। তিনি এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার আমি রাজশাহীতে মিটিং-এ ছিলাম। ঘটনা শুনেছি। আমি আজকে ঐ পরিবারের সাথে দেখা করতো যাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *