পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত ইবির বিভাগগুলো
বিশ^বিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইবি-
দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যখন পরীক্ষার পদ্ধতি
(অনলাইন বা সশরীর) ও দিনক্ষণ নির্ধারণে ব্যস্ত, এমনসময়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরাও অনেকটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন
পার করছেন। কবে শুরু হবে তাদের পরীক্ষা! কবে শেষ হবে
শিক্ষাজীবন!
জানা যায়, সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসি অনলাইন অথবা
সশরীরের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল ও আটকে থাকা পরীক্ষা
নেয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়। নিদের্শনায় বলা হয়-পাবলিক
বিশ^বিদ্যালয়গুলো যে পদ্ধতিতেই পরীক্ষা গ্রহণ করুক না কেন
তা অবশ্যয় সিনেট অথবা একাডেমিক কাউন্সিলে (এসি) পাশ
হতে হবে। সে অনুযায়ী ইবি প্রশাসন অনুষদসমূহে বিভাগুলোর
পরামর্শ/সিদ্ধান্ত জানতে চিঠি পাঠায়। ইতোমধ্যে
বিশ^বিদ্যালয়ের বিভাগগুলো একাডেমিক মিটিং সম্পন্ন
করেছে। তবে অধিকাংশ বিভাগ শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে
সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার এবং দ্রুত পরীক্ষা শুরু করার পরামর্শ
দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুন
নাহার বলেন, ‘আমাদের একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে দুটি
বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। একাধিক কক্ষে আসন বসিয়ে এবং
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহন এবং এ সিদ্ধান্ত যদি
এসি’তে অনুমোদন না হয় সেক্ষেত্রে অনলাইনে পরীক্ষা হতে পারে।
তবে এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই অর্ডিন্যান্সে
সংশোধনী আনতে হবে’।
আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি
অধ্যাপক ড. মাকসুুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একাডেমিক
কমিটি অনলাইনে পরীক্ষা পদ্ধতি নাকচ করে সশরীরে পরীক্ষার
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কল্যানে অতিদ্রæত
পরীক্ষা নিতে চাই। এখন এসি মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়
আছি।’ গনিত বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড.
আনিছুর রহমানও একই সিদ্ধান্তের কথা বললেন। তিনি বলেন,
‘যদি পরিস্থিতি আরো খারাপ হয় তবে অনলাইনে পরীক্ষার
ব্যাপারেও আমরা পরামর্শ দিয়েছি।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যাÐ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য
প্রস্তুত। তবে এ পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মানসিক-শারীরিক ও
আর্থিক অবস্থা, তারা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং সর্বপরি
সকলের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অনলাইন পদ্ধতিকে
সাপোর্ট করেছি। একই পদ্ধতির ব্যাপারে পরামর্শের কথা
জানালেন ফিন্যান্স অ্যান্ড বাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী
অধ্যাপক ড. বখতিয়ার হাসানও। তিনি বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে
পরীক্ষা নিতে হলে অনলাইন সমস্যাগুলো সমাধান ও পরীক্ষা পদ্ধতি
নিশ্চিত করে নিতে হবে বলে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে
ভালো হয় সশরীরে পরীক্ষা নেয়া, কারণ শিক্ষার্থীরা এটাই চায়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন
ভুঁইয়া বলেন, ‘অধিকাংশ বিভাগ থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার
পক্ষে পরামর্শ এসেছে। ভিসি স্যার অসুস্থ থাকায় আমাদের
পরীক্ষার পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণে লেট হচ্ছে। স্যার ক্যাম্পাসে
ফিরলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে একাডেমিক কাউন্সিল বসবে।
তারপর পরীক্ষার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে জুলাইয়ের
প্রথম সপ্তাহেই আমরা পরীক্ষা শুরুর কথা ভাবছি।’