পশ্চিমা টিকা নিতে নারাজ শি

Share Now..


চীন সম্প্রতি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবে দেশটির নেতা শি জিন পিং পশ্চিমা দেশগুলোতে তৈরি ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে রাজি নন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক এভ্রিল হেইনসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ইকোনোমিক টাইমস।প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ক্যালিফোর্নিয়ায় রিগান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরামের বার্ষিক আয়োজনে বক্তৃতা দেন এভ্রিল হেইনস। সেখানে তিনি জানান, চীনে কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ কমিউনিস্ট পার্টির শাসনের জন্য হুমকি নয় কিন্তু এ বিক্ষোভ শির অবস্থানকে নাড়া দিতে পারে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, চীনে এখন প্রায় প্রতিদিনই উপসর্গধারী ও উপসর্গবিহীন মিলিয়ে ৩০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তারপরও অর্থনৈতিক মন্দা ও বিধিনিষেধ নিয়ে জনগনের অসন্তোষের কারণে দেশটির অনেক শহর শনাক্তকরণ পরীক্ষার ‍বুথ ও কোয়ারেন্টিনের কঠোর নিয়ম কানুন তুলে নিচ্ছে।

হেইনস জানান, চীনের সামাজিক ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও শি পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ভালো টিকা নিতে আগ্রহী নন। এর পরিবর্তে তিনি চাইনিজ ভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করতে চান। যা ওমিক্রনগুলোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা ভ্যাকসিনগুলোর মতো কার্যকর নয়।

চীন এখনো কোনো বিদেশী ভ্যাকসিন অনুমোদন করেনি। তারা তাদের নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরি করছে এবং তাদের নিজস্ব নাগরিকদের দেওয়ার পাশাপাশি অনেক দেশে বিক্রি করছে।

তবে বেশ কয়েকটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, চীনের ভ্যাকসিনগুলো ফাইজার, মডার্না বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো অনেক ধরণের কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়। এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ চীনে একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

কয়েকদিন আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, চীন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোভিড ভ্যাকসিন চায়নি। চীন শীঘ্রই যে কোনও সময় বিদেশী ভ্যাকসিন অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে না।
মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমা ভ্যাকসিনগুলোতে চীনের সবুজ সংকেত হবে না বলে মনে হচ্ছে। এটা তাদের জাতীয় গর্ব, বিদেশী টিকা খুঁজতে তাদের সেই অহংকার গ্রাস করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *