পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশের মেয়েরা
শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মারুফা, রাবেয়াদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের মেয়েরা নয় উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে।
জবাবে প্রথম উইকেটেই ১২৫ রান তুলে নেয় ফারজানা হক (৬২) ও মুর্শিদা খাতুন (৫৪)-এর জুটি। এরপর দ্রুত তিন উইকেট পড়লেও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি (১৮) ও সোবহানা মোস্তারি (১৯) বাংলাদেশকে অনায়াসেই লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে শুরু থেকেই খেলায় নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতে। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুন। ওপেনিং জুটিতেই আসে রেকর্ড ১২৫ রান, যা মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শুকতারা রহমান ও শামিমা আক্তার ১১৩ রানের জুটি গড়েছিলেন।
তবে দুর্দান্ত শুরুর পরেও তিন রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের পর ফাহিমা খাতুনকেও হারিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা ধাক্কা খায়। নাস্রা সান্ধুর বলে ফারজানা এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। পরের ওভারে শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মুর্শিদা। অধিনায়কের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন ফাহিমা। তবে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন ফারজানা। ১১৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তিনি। ১০৬ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৪ রান করেন মুর্শিদা। এছাড়া সোবহানা ১৯ ও নিগার ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের পক্ষে ২৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান সান্ধু।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানও শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল। সাদাফ শামস ও সিদ্রা আমিনের উদ্বোধনী জুটতেই ৬৫ রান তোলে তারা। শামসকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন নাহিদা আক্তার। এরপর মুনিবা আলীকে নিয়ে ২৮ রানের জুটি গড়েন আমিন।
মুনিবাকে ফিরিয়ে এ জুটি ভেঙে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্পিনের ফাঁদে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ৭৩ রান তুলতেই শেষ ৯টি উইকেট হারায় পাকিস্তান। সিদ্রা আমিন এক প্রান্ত ধরে রাখলেও অপর প্রান্তে ব্যাটারদের আসা যাওয়ায় ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন নাহিদা ও ৩৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন রাবেয়া খান।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশের এটা চতুর্থ সিরিজ জয়। ২০১৪ সালে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তাদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল মেয়েরা। এছাড়া ২০২১ সালে জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে এবং ২০১৬ সালে প্রথম দুই ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
I am sure this piece of writing has touched all the
internet users, its really really fastidious article on building up new blog.