পাকিস্তানের ‘মামুলি’ রাজনীতি দেশটির অর্থনীতির পতন আনছে
পাকিস্তানের নেতারা ‘চির শত্রু’ ভারতের সঙ্গে তুচ্ছ রাজনীতি খেলার জন্য উপযুক্ত মনে করছেন। যদিও দেশটি এই মুহূর্তে নজিরবিহীন বন্যার কবলে। ভয়াবহ বন্যার কারণে দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেছে। এতে সংকটে পড়েছে দেশটির লাখ লাখ মানুষ। প্রতিনিয়ত খাদ্য, আশ্রয় এবং ওষুধের জন্য লড়ছে। দেশটিতে আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৪৭ বছরের সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
এই নিয়ে আইএমএফ সতর্ক করেছে, দেশটিতে চলমান মুদ্রাস্ফীতি জনগণের মধ্যে প্রতিবাদ এবং অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে। পাকিস্তানের ফেডারেল অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল চান দেশটিতে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় অন্তত ভারত থেকে সবজি আমদানি করা হোক।
কিন্তু এই প্রস্তাবের প্রবল বিরোধী হয়ে উঠেছেন দেশটির প্রধানবিরোধী দল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ায় ভারতের সঙ্গে তিন বছর আগে বাণিজ্য নিষিদ্ধ করে তৎকালীন ইমরান সরকার। এখন দেশটির জোট শেহবাজ শরিফ সরকার বলছে, যাই হোক না কেন ভারত থেকে কোনো আমদানি নয়।
এর আগে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির প্রয়াত পিতামহ জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেছিলেন, পাকিস্তানিরা ঘাস খাবে কিন্তু বোমা থাকবে।
তাই পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।