পাকিস্তানে মা-মেয়েকে ঘরে বন্ধ করে ইটের দেয়াল তুললো আত্মীয়রা
পাকিস্তানের হায়দরাবাদে মা এবং কিশোরী কন্যাকে ঘরে বন্ধ করে বাইরে ইটের দেওয়াল গেঁথে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। তাদের ‘অপরাধ’ সম্পত্তির ভাগ নিয়ে আত্মীয়দের দাবি মেনে নেননি। তবে প্রতিবেশী এবং পুলিশের সহায়তায় দেওয়াল ভেঙে উদ্ধার করা হয় দু’জনকেই। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
তসলিম জেহান ও তার মেয়ে দুয়া পরে পুলিশকে জানান, যে ব্যক্তি তাদের ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা করেছিল তার নাম সোহেল, সম্পর্কে সে মামাতো ভাই হয়।
তসলিম জানায়, এই অমানবিক কাজের পিছনে কোন উদ্দেশ্য আছে অনুমান করতে পারেননি তারা। বাড়ির দলিল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ওই নারী এবং তার মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন সোহেল।
তসলিমের অভিযোগ, ঘটনার দিনও তাদের জোর করেই ওই ঘরে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বাড়ির দলিল। তাদের পক্ষে কাউকে ঘটনাটি জানানো সম্ভবই হত না, যদি না প্রতিবেশীরা নিজে থেকে বিষয়টি খেয়াল করতেন। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা দায়ের করেছে।
তসলিম পুলিশকে জানায়, তার স্বামী আব্দুল হক প্রায় ২০ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে বাড়ির মাঝখানে থাকতেন। পাশের বাড়িতে থাকেন তার ভাই মোহাম্মদ ইরফান।
তসলিম বলেন, ‘আমার স্বামী তার শ্যালক মৃত আব্দুল আজিজকে বাড়ির এক অংশে থাকতে দিয়েছিলেন। সোহেল আব্দুল আজিজের ছেলে এবং সে এখন তার স্ত্রীকে নিয়ে এ বাড়িতে থাকে। কিন্তু ক্রমে সোহেল আমাকে এবং আমার মেয়ে দুয়াকে মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে শুরু করে। শুধু তাই নয় মানবিকতার সব সীমা লঙ্ঘন করে সে তার স্ত্রী সায়মা ও তার শ্যালক ওয়াসিমকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে এবং আমার মেয়েকে ঘরে বন্ধ করে বাইরে থেকে ইঁটের দেয়াল গেথে দেয়। আমি ভেবেছিলাম সোহেল হয়তো আমার বাড়ির অংশটি মেরামত করতে যাচ্ছে। সে আগেই ইট, সিমেন্ট জোগাড় করে রেখেছিলো। উদ্ধার না করা পর্যন্ত পানি, খাবার ছাড়াই আমরা ঘরে আটকে ছিলাম।’
এই ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু প্রতিবেশী এবং পুলিশের উদ্যোগে দেওয়াল ভেঙে মুক্ত করা হয় দু’জনকেই।