পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত বেড়ে ১৩০

Share Now..

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গত ১০ দিনে অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়েছেন। সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে সিএনএন এ তথ্য জানায়। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি জেলা কুররাম। গত ২১ নভেম্বর কুররাম জেলায় একটি গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের অতর্কিত হামলায় ৫২ জন নিহত হয়। যাদের বেশির ভাগই ছিলেন শিয়া মুসলিম। এই হামলার পরই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।

এ হামলার দায় কেউ স্বীকার না করায় বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। সরকারি কর্মকর্তারা গত ২৪ নভেম্বর সাত দিনের যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করলেও তা বহাল থাকেনি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে ১৪ জন নিহতের পাশাপাশি ২৭ জন আহত হয়েছেন।

কুররাম আফগানিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা পাকিস্তানের একটি উপজাতীয় অঞ্চল। দেশের অন্যান্য অংশে সংখ্যালঘু হলেও কুররাম জেলার কিছু অংশে শিয়া মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সংখ্যায় কম হলেও কুররাম জেলায় শিয়া মুসলিমদের আধিপত্য রয়েছে।

সাধারণত এ অঞ্চলের শিয়া মুসলিমরা পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলমানদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। তবে গত জুলাই মাস থেকে কুররাম জেলায় জমি নিয়ে বিরোধ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে এবং উভয় পক্ষের বহু মানুষ নিহত হয়েছে।

কুররাম জেলার উপ-কমিশনার জাভেদ উল্লাহ মেহসুদ বলেন, ‘উপজাতি নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’

মেহসুদ আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা পুনরায় চালু করেছে।’

তবে প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারের সঙ্গে পারাচিনার শহরের সংযোগকারী প্রধান মহাসড়কটি সব ধরনের যান চলাচলের জন্য বন্ধ থাকায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

এছাড়া আফগানিস্তানের সঙ্গে খারলাচি সীমান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য ও চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *