পালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ

Share Now..

গুঞ্জন উঠেছে আজ রাতেই দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ! জানা গেছে, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ তার বিশ্বস্ব গভর্নর আব্দুর রউফের বাইরে চলে যাওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন করে দিচ্ছেন। তবে রউফ কোনো দেশে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশের আর্থিকখাতে কর্তৃত্ব হারিয়েছে বিতর্কিত এসআলম গ্রুপ। ইতিমধ্যে তার দখল করে নেওয়া ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। এস আলমের ঘনিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফের বিরুদ্ধেও সরব হয়ে উঠছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তরা। এমন অবস্থায় পদত্যাগ করতে পারেন গভর্নর আব্দুর রউফ। তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে সোমবার (৫ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সব ক্ষেত্রে। আর্থিকখাতে প্রবল প্রভাবশালী এসআলম গ্রুপ রাতারাতি কর্তৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন এক সময়ের দাপটশালী আমলা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ। বিতর্কিত এসআলম গ্রুপকে নানা অবৈধ-অন্যায্য সুবিধা দেওয়ার কারণে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত। এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার তিনি অফিস করেননি। এদিকে এসআলম গ্রুপের প্ররোচনায় গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার কৌশলে প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তারা টানা আন্দোলন করলেও তিনি ছিলেন সিদ্ধান্তে অনড়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজ ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও ব্যাংক বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন

এদিকে এসআলম গ্রুপের প্ররোচনায় গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার কৌশলে প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তারা টানা আন্দোলন করলেও তিনি ছিলেন সিদ্ধান্তে অনড়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজ ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও ব্যাংক বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন।

২০২২ সালের ৩ জুলাই আব্দুর রউফ গভর্নর পদে চার বছরের জন্য নিয়োগ পান। গভর্নর হিসেবে যোগ দেওয়ার প্রথম থেকেই তিনি নানাভাবে এসআলম গ্রুপের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছেন। গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলোতে ঋণের আড়ালে অবাধে লুটতরাজ চললেও গভর্নরের ইশারায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সবসময় ছিল নিরব। বেনামী ঋণসহ নানা কৌশলে এসআলম গ্রুপ ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি সরিয়ে নেওয়ায় এগুলো প্রবল তারল্য সঙ্কটে পড়ে। ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে ও নতুন করে লুটের সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সেগুলোকে ধার দেয়। আর দফায় দফায় নতুন টাকা ছাপানোর কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড় যায়, যার শিকার হতে হয় দেশের সাধারণ মানুষকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *