পুতিন-এরদোয়ান ফোনালাপ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যে আবার ফোনালাপ হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) তাদের মধ্যে শেষ ফোনালাপ হয়। কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।উভয় দেশ জানিয়েছে, দুই নেতা খাদ্যশস্য সরবরাহ এবং তুরস্কে সম্ভাব্য আঞ্চলিক গ্যাস হাব নিয়ে আলোচনা করেন। ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন পশ্চিমা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তাদের অর্থনীতিকে পিষ্ট করছে। ন্যাটোর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আঙ্কারা পশ্চিমাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। তবে ইউক্রেনের দখলকৃত চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ায় খাদ্যশস্য রপ্তানি নিশ্চিত করতে তুরস্ক জাতিসংঘের সঙ্গে মধ্যস্থতা করেছে। ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে সব নেতার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে এরদোয়ান অন্যতম। ইতোমধ্যে দুই নেতার মধ্যে কয়েক দফা ফোনালাপ হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় রোববার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া ব্ল্যাক সি গ্রেইন করিডোরের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য রপ্তানি শুরু করতে পারে বলে জানান এরদোয়ান।
সার ও কৃষি পণ্যের রপ্তানি কমাতে পশ্চিমাদের কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, শস্য চুক্তির কিছু অংশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এক বিবৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন জানিয়েছে, চুক্তিটির প্রকৃতি জটিল। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশের চাহিদা মেটাতে রুশ রপ্তানি রোধ করা। রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির জন্য তুরস্কে একটি ঘাঁটি নির্মাণের বিষয়েও দুই নেতা আলোচনা করেছেন।
Online games that will keep you on the edge of your seat Lucky Cola