পুরুষদের বিদেশে কাজ করতেও যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার জান্তা

Share Now..

সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার মতো প্রাপ্তবয়স্ক যে কোনো পুরুষকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এমনকি দেশের বাইরে কাজ করতেও যেতে দিচ্ছে না। সম্প্রতি দেশ ছেড়ে পালানোর প্রবণতা বেড়েছে মিয়ানমারের তরুণসহ যে কোনো বয়সের পুরুষদের মধ্যে।

পুরুষদের দেশত্যাগ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিয়ে জান্তা। খবর বিবিসির।

বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা বিদেশে কাজের অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়াও স্থগিত করবে। অর্থাৎ কোনো পুরুষ মিয়ানমার থেকে বিদেশে কাজের জন্য আবেদনও করতে পারবেন না।

এশিয়ার অন্যান্য দেশে বড় সংখ্যক মিয়ানমারের প্রবাসী নাগরিক রয়েছে। এর আগে স্থানীয়দের বিদেশে চাকরির করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশে গৃহযুদ্ধ বেড়ে যাওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জান্তা।

কয়েক মাসের যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পর ফেব্রুয়ারিতে বাধ্যতামুলক সামরিক বাহিনীতে যোগদানের নিয়ম করে জান্তা সরকার। এর ঠিক পরের তিন মাসে প্রায় ১ লাখ পুরুষ বিদেশে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করে। এতে ধারণা করা যায় পুরুষদের মধ্যে মিয়ানমার ছাড়ার প্রবণতা কতটা বেড়েছে।

তরুণরা এর আগে দেশ ছাড়ার বিষয়ে হতাশা জানিয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে। এই তালিকার বেশিরভাগই ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারী।

বিদেশে কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। মিয়ানমারের অনেকেই থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশে কাজ করতে যেত।

৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জাপান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি বিবিসি বার্মিজকে বলেন, (সবাই) ভবিষ্যতের আশা হারিয়েছে। দেশে চাকরির সুযোগ নেই। এখন তারা (জান্তা) আমাদের দেশ ছাড়তে নিষেধ করেছে। আমাদের কি কিছু করার অধিকার নেই?’

২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে অং সান সু চি’র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই প্রায় নিয়মিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিদ্রোহের মুখোমুখি হয়েছে জান্তা। ক্রমশ তা পূর্ণ-বিকশিত গৃহযুদ্ধে রূপ লাভ করেছে।

জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ এ পর্যন্ত হাজার হাজার নিহত এবং কমপক্ষে ২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *