পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত, আহত ১০

Share Now..

পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পরেও গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী ও জরুন এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে।

এ সময় পুলিশ বিক্ষ্ব্ধু শ্রমিকদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ শ্রমিক আহত এবং ১ নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহতদেরকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

নিহত ওই নারী শ্রমিকের নাম মোসা. আঞ্জুয়ারা খাতুন। কোনাবাড়ি জরুন এলাকার ইসলাম গার্মেন্টস ইউনিট-২-এর সেলাই মেশিন অপারেটর পদে চাকরি করতেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের চরগিরিশ এলাকায়। নিহতের স্বামী জামাল হোসেন ও ভাই মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খায়রুল আলম বলেন, নারী শ্রমিক নিহত হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি পদদলিত হয়ে না কি অন্য কোনভাবে আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।

পুলিশ, শ্রমিক ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে আসছিল। এরপর মঙ্গলবার পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না শ্রমিকরা।

ফলে বুধবার সকাল থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জরুন ও বাইমাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে কাঠ ও টায়ারে অগ্নি সংযোগ করে। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুরের চেষ্টা করে।

কোনাবাড়ী থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। ভাঙচুরের চেষ্টা করে। শ্রমিকদের মহাসড়কে নামতে দেওয়া হয়নি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *