প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশি বংশদ্ভূত লেবার পার্টি নেত্রী সাবিনা আক্তারের পদত্যাগ
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের আগে লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমারের বাংলাদেশিদের নিয়ে মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করলেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার সাবিনা আক্তার। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার ছিলেন।
সাবিনা আক্তার বলেছেন, দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে, আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।
গত সোমবার সান পত্রিকার পাঠকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে আসা যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানো হবে।’
পরে অবশ্য স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টাফোর্ডশায়ারে এক নির্বাচনী প্রচারণা পরিদর্শনে গিয়ে এই নেতা বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা যারা আমাদের দেশের জন্য এত বড় অবদান রাখছেন, তাদের উদ্বেগ বা আঘাত করার উদ্দেশ্য মোটেও ছিল না। স্যার কির আরও বলেন, তিনি শুধু এটুকুই বলেছেন যে, আশ্রয়প্রার্থী ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যার প্রত্যাবর্তন চুক্তি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যদি লেবার পার্টি নির্বাচনে জয়ী হয়, তাহলে তিনি ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে দলের ‘অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চান।
এদিকে পদত্যাগপত্রে সাবিনা আক্তার লিখেছেন, আমি লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার এবং একজন গর্বিত লেবার পার্টির সদস্য ছিলাম। তবে আমি এই দলটি নিয়ে আর গর্ব করতে পারি না, যখন দলের নেতা আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে দেয় এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে।
তিনি লিখেছেন, আমি সারা জীবন দলকে রক্ষা করেছি এবং এর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এটা স্পষ্ট, আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কাছে এটি (দলের নেতার মন্তব্য) গ্রহণযোগ্য নয়।
This is a topic that is close to my heart… Take
care! Exactly where are your contact details though?