প্রথম জয়ের দিনে আফগানরা এক ছাতার নিচে চলে এসেছিল
তালেবানের উত্থানের পর মাত্র কয়েকটি স্বস্তির জায়গা রয়েছে আফগানিস্তানের। তার মধ্যে ক্রিকেট একটি। কারণ, প্রতিপক্ষকে হারাতে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হাতিয়ার করলেও ব্যাট-বলের লড়াই ভালোবাসে তালেবান। স্কটিশদের ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর তাই মুজিব উর রহমান, রশিদ খানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ।
তার টুইট, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগান দলের জয়ের জন্য তাদের অভিনন্দন। দলের আরও সাফল্য কামনা করি। এর আগে আফগান দলের প্রেটিয়া হেডস্যার ল্যান্স ক্লুজনার দাবি করেছিলেন, তালেবানরা ক্রিকেট ভালোবাসে। অথচ মাসখানেক আগে এই তালেবানদের জন্য বিশ্বকাপের দরজা বন্ধ হতে বসেছিল আফগানদের সামনে।
গত সোমবার ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত চলাকালে সেই কথাই হয়তো মনে পড়েছিল অধিনায়ক মোহাম্মদ নবির। চোখের জল মুছতে দেখা যায় হঠাৎ করে নেতৃত্বের ব্যাটন পাওয়া এই অলরাউন্ডারকে। ম্যাচ শেষে বললেন, আমাদের লক্ষ্যই ছিল আগে ব্যাট করে বড় স্কোর করা। টপ অর্ডার সেটা ভালোভাবেই করেছে। মুজিব আর রশিদ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। আমরা এভাবেই জয়ের ধারা বজায় রাখতে চাই।
স্পিনার মুজিবের বিশেষ প্রশংসা শোনা গিয়েছে নবির মুখে। তিনি বলেন, বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এটাই ওর প্রথম ম্যাচ। সেখানে ও ম্যাচের সেরা হয়েছে। মুজিব নিজে বলছেন, এই জয় আর পুরস্কার সবই দেশের জন্য। দর্শকদের সমর্থন আমাকে শক্তি যোগাচ্ছে। গ্যালারির আওয়াজ আমাদের জয়ের অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। তবে আত্মতুষ্ট হতে নারাজ আফগানরা।
পেসার নবীন উল হকের কথায়, এই জয় উপভোগ্য। তবে এটাই শেষ নয়। এখনো কয়েকটা ম্যাচ বাকি। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবেন আফগানরা। একটি টিভিতে তালেনবানরা বলেছেন, তাদের আফগানিস্তান সেমিফাইনাল খেলবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘিরে আফগানিস্তানে মাঠে মাঠে ছোট বড়রা টেনিসের বলে ক্রিকেট খেলছে।