প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বানাতে অপ্রতুল বরাদ্দ কেন ?
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মাত্র এক লাখ একাত্তর হাজার টাকায় রান্নাঘর ও এটাস বাথরুমসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর ভেঙ্গে পড়া নিয়ে দেশব্যাপী হৈচৈ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুকে ভারাইল হচ্ছে ভেঙ্গে পড়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাওয়া ঘরের ছবি। ফলে বিপাকে পড়ছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা। ইতিমধ্য আনেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর নেমে এসেছে শাস্তির খড়গ। তাদের অনেকের ওএসডি বা বদলী করা হয়েছে। এখনো শাতাধীক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন প্রশাসনিক শাস্তির ঝুঁকির মধ্যে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের এই ঘর নির্মানের বাজেট ও ঘরের ডিজাইন নিয়ে রয়েছে বড় রকমের শুভাংকরের ফাঁকি। মাত্র এক লাখ একাত্তর হাজার টাকায় এধরণের একটি বাড়ি তৈরী হয় কিনা তা নিয়ে কথা হয় ঝিনাইদহ জেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের একাধিক প্রকৌশলীদের সঙ্গে। নামি প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকৌশলীরা জানান, এসব ঘর তৈরী করতে অস্বাভাবিক ডিজাইন করা হয়েছে। ঘরের পোতা দেড় ফুট ও বারান্দা এক ফুট করে ডিজাইনে ধরা আছে। আর এই ডিজাইন নিচু ও উচু এলাকার জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য হলেও বরাদ্দ কিন্তু একই। এই বরাদ্দের মধ্যে ঘর করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নিচু এলাকায় দেড় ফুট পোতা ও এক ফুট বারান্দা দিলে স্থায়ী হয় কিনা তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। ঘরের খুটিনাটি বিশ্লেষন করে দেখা যায়, একটি রান্নাঘর ও এটাস বাথরুমসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর করেত বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার ইট। যার দাম ৫০ হাজার টাকা। ৪০ থেকে ৪৫ ব্যাগ সিমেন্ট যার দাম ২০ হাজার টাকা। ৬ বান্ডিল টিন যার দাম ৪২ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকার কাঠ, ১৫ হাজার টাকার বালি, মিস্ত্রী বাবাদ ৪০ হাজার টাকা, বাথরুমের প্যান ও ফিটিং বাবাদ ৩ হাজার টাকা (ধরা আছে ১৬০০ টাকা), ঘরের মেজেতে মাটি ভরাট, জানালা, দরজা ও গ্রীল দিয়ে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। অথচ বিশ্ব ব্যাপী এমন একটি আলোচিত ও নন্দিত প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত কোন বরাদ্দ নেই। প্রকল্পের টাকা ফিক্সড করে দেওয়ায় অনেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ইটভাটায় গিয়ে কাকুতি মিনতি করে ইট নিতে হয়েছে। এখন বিষয়টি সচ্ছভাবে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে এই প্রকল্পে অনিয়ম দুনর্িিত হয়েছে, নাকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাধ্যের মধ্যে অসাধ্য সাধন করতে হয়েছে!