ফেরার জন্যই বিরতি!
নওরীন হাসান খান জেনি। ছোট পর্দায় তুমুল ব্যস্ততা কখনোই তার ছিল না। তবে টিভিসি বা নাটকে দর্শকদের কাছে এক স্নিগ্ধতার নাম ছিলেন তিনি। সাময়িক বিরতির পর ওটিটিতে প্রথমবারের মতো কাজ করছেন জেনি। সেই বিরতি আর ফেরার গল্পই লিখেছেন এ এম রুবেল
গুঞ্জন উড়িয়ে!
এক সময় বিজ্ঞাপন ও ছোটপর্দায় নিয়মিতই দেখা দিতেন জেনি। কিন্তু করোনাসহ নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন ক্যামেরার সামনে আসেননি তিনি। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক গণমাধ্যম তেমনই সংবাদ প্রকাশ করেছে একাধিকবার। তবে জেনি জানালেন ভিন্ন কথা। কাজগুলো একঘেয়েমি হওয়ার কারণে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন, তবে এবার দারুণ একটি গল্প পেয়ে বিরতির তকমা মুছে ফেলছেন এই অভিনেত্রী।
প্রতিপক্ষ মোশাররফ
সমসাময়িক গল্পে ভিন্ন এক মোশাররফ করিমকে উপস্থাপন করছেন নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুল। মোবারকনামা শিরোনামের এই ওয়েব সিরিজেই মোশাররফের প্রতিপক্ষ হিসেবে পর্দায় আসছেন জেনি। যেখানে সাবনিন চরিত্রে মোশাররফের সঙ্গে লড়াই করবেন তিনি। যে চরিত্রটি দেশের বাইরে থাকলেও বিশেষ ক্রিমিনাল মামলা হলে দেশে ফেরেন। ঠিক যেন তার কাজে বিরতির মতোই!
পর্দা কোনো বিষয় না
ক্যারিয়ারের শুরুতে জেনি ছোটপর্দা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটাতেন। অথচ বিরতি কাটিয়ে ভিন্ন মাধ্যমে নতুন করে শুরু করলেন তিনি। আসলে পর্দা পাল্টানোর জন্যই এমন বিরতি কি-না?—এমন কথায় জেনি জানালেন, শুরু থেকেই পর্দা বিভাজনের পক্ষে নন তিনি। ভালো গল্প, চরিত্র পেলে এখনো নিয়মিত হতে চান, সেটা যে মাধ্যমেই হোক।
ওটিটিকে নতুন মনে হয়নি
অনেকদিন পর পর্দায় ফিরলে অনেকেই একটু ভয়ে ভয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। সেটা যদি নতুন মাধ্যম হয় তবে তো কথাই নেই। কিন্তু জেনির ক্ষেত্রে এটি ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। কারণ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের অনেকেই তার পূর্ব পরিচিত। তাছাড়া ‘মোবারকনামা’র শিল্পী-নির্মাতা-কলাকুশলীদের সঙ্গে আগেও একাধিক কাজ করেছেন জেনি। যে কারণে সাবলীলভাবেই নিজের চরিত্র উপস্থাপন করতে পেরেছেন তিনি।
জেনির চলচ্চিত্র ভাবনা
দেশের চলচ্চিত্র আশার আলো দেখানো শুরু করেছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু সিনেমা ব্যবসাসফল হওয়ার পাশাপাশি প্রশংসা কুড়িয়েছে। এক সময়ের নিয়মিত অভিনেত্রী জেনিও এরইমধ্যে ‘শ্যামাকাব্য’ শিরোনামের একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন। এরপর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। যদিও জেনি জানান, চরিত্রের গভীরতা থাকলে সেটা ছোট-বড় যা-ই হোক সেখানেই কাজ করতে আপত্তি নেই তার।
প্রচারবিমুখ হওয়ার নেপথ্যে
জেনির সমসাময়িক অনেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষ তারকার তকমা নিজের করে নিয়েছেন। পাশাপাশি আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রেও রয়েছেন তারা। সেই জায়গা থেকে জেনি অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। যদিও জেনি মনে করেন, কেউ কারো রিজিক নিতে পারে না। ভাগ্যে বিশ্বাস করা জেনি শিগগিরই শীর্ষ তারকার তালিকায় নিজেকে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। যখন অনেকেই ফেসবুক বুঝত না তখন জেনি এই মাধ্যমে যুক্ত হন। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে মাধ্যমটিতে সেভাবে সরব হতে দেখা যায়নি তাকে। তার মতে, সবার মতো তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকতে চান, কিন্তু নানা কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। মূলত, মাধ্যমটি তাকে সেভাবে কখনো টানেনি।
স্বামী-স্ত্রী’র শ্রদ্ধাবোধ
অভিনেত্রী জেনির স্বামীও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। নানা সময় একই মাধ্যমে কাজ করা দম্পতিদের কাজে বোঝাপড়া না হওয়া, বিচ্ছেদসহ নানা গল্প প্রকাশ পায়। কিন্তু জেনি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। শুরু থেকেই তারা একে অন্যের কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এমনকি দু’জন নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করেই এগিয়ে যান। সব মিলিয়ে দারুণ দাম্পত্যজীবন উপভোগ করছেন তারা।