ফ্ল্যাটের সামনে পড়েছিল কাটা আঙুল
ফ্ল্যাটে ঢুকে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন করাচি পুলিশ সদস্যরা। ফ্ল্যাটে ডুকেই তারা দেখতে পায় ফ্লোরে ছড়িয়ে আছে একজন মানুষের শরীরের টুকরো টুকরো অংশ। তার পাশেই ঘুমিয়ে আছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতের ওই ঘটনা ঘটে পাকিস্তানের করাচির শহরে। পরে পুলিশ সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন স্বামীকে হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে স্ত্রী।
দ্যা নিউজ ডট কম ডট পিকে এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি নাম মুহাম্মদ সোহেল (৬০)। তিনি করাচির সদর এলাকার আবদুল্লা হারুন রোডের ওই ফ্ল্যাটেরই বাসিন্দা ছিলেন। ওই এপার্টমেন্টের এক বাসিন্দা সোহেলের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে কাটা আঙুল ও রক্ত দেখতে পেয়ে থানায় ফোন করেছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে নিহতের দেহাংশগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
করাচির সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) জানিয়েছেন, এ ঘটনায় রুবাব (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথামকিভাবে হত্যার কথা শিকার করেছে । রুবাব প্রথমে জানান তিনি সোহলের স্ত্রী। পরে আবার বলেন নিহত সোহেল তার দুলাভাই। আশপাশের লোকজন জানায় তারা একত্রে বসবাস করলেও তাদের বিয়ে হয় নি। তবে সোহলের আগের পক্ষের ছেলে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের দু’জনের বিয়ে হয়েছে। গত ৬ বছর ধরে সোহেল এবং রুবার এক সঙ্গে থাকতেন।
করাচি প্রিডি থানার মামলার তদন্তকারী সাজ্জাদ খান জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহের কারণেই এই খুন। তিনি বলেন, ‘‘জেরায় রুবার জানিয়েছেন সোহালে মাদকাসক্ত ছিলেন। যদিও গ্রেফতারির সময় ওই মহিলাও নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
তিনি জানান, টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে সেগুলো জিন্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।