বনদস্যুহিন সুন্দরবনে বনদস্যুদের আখড়া
\ কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \
সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ এলাকায় কয়েক বছর পর আবারও বনদস্যুদের আখড়ায় পরিনত হয়েছে বলে জেলেদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ ডিসেম্বর (রবিবার) কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ৬নং কয়রা গ্রাম ও উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন কাঠকাটা গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সাধারণ জেলে বলেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন এলাকায় বনদস্যুদের দাপটে মাছ, কাঁকড়া ধরতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। ৬নং কয়রা গ্রামের এক কাঁকড়া ধরা জেলে বলেন আমরা ৪ টা নৌকা করে ৮ জন জেলে শীতের সময় শীবষা নদীর পাশের খালে ভিতরে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আমাদের সাথে দেখা হয় মামা ভাগ্নে বনদস্যু বাহিনীর সাথে বাহিনীর প্রধান মামা বলেন নৌকা প্রতি ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার করে টাকা নিয়ে আসবি এবং তোদের ৮ জন জেলের মাঝ থেকে ৪ জন জেলে আমাদের সাথে থাকবি মুক্তিপন দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবি। এরপর আমরা বাড়ি চলে আসি সবাই মিলে এসে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়ে আটককৃত জেলেদের ছেড়ে দেয় তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩২টি দলের ৩২৮ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করে। তারা ৪৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২২,০২৪ রাউন্ড গোলাবারুদ হস্তান্তর করে। আত্মসমর্পণের পর অনেক দুষ্কৃতকারী সরকারি পুণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। ৫ই আগস্টের পর আবারও সুন্দরবনে সক্রিয় হয়েছে আত্মসমর্পণ কারী কিছু বনদস্যু ও নতুন কিছু বনদস্যুরা। জেলে সূত্রে জানা গেছে বর্তমান সুন্দরবনে ৪ বনদস্যু বাহিনী সক্রিয় আছে মামা-ভাগ্নে বাহিনী, রবিউল বাহিনী, মাষ্টার বাহিনী, শরিফ বাহিনী। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ ও তথ্য আছে ইতিমধ্যে আমরা অন্য বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করছি খুব শিগগিরী সমন্বিতভাবে যৌথ অভিযান শুরু করবো সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করা হবে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করে।