বাঁদর ছিনিয়ে নিলো মিমির সানগ্লাস!

Share Now..

বাবা-মাকে নিয়ে বৃন্দাবনে বেড়াতে গিয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু সেখানে গিয়েই ‘ছিঁচকে চোর’-এর পাল্লায় পড়লেন মিমি। যে চোর নিয়ে পালালো অভিনেত্রীর সাধের সানগ্লাস। তবে চোরটি কোন মানুষ নয়। একটি বাঁদর চোখের পলকে ছিনিয়ে নিলো মিমির সানগ্লাস। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন মিমি।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দোলের আগেই একটু অন্যভাবে দোল সেলিব্রেট করতে শহর থেকে অনেক দূরে বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সে সময়ের একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন মিমি।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাধা-কৃষ্ণের শহরে গিয়ে আবিরে মাখামাখি হয়ে হলি খেলছেন অভিনেত্রী। সে এক সুন্দর মুহূর্ত…। কিন্তু একী! সেখানে গিয়েই ‘ছিঁচকে চোর’-এর পাল্লায় পড়লেন মিমি। যে কিনা মিমির দামী রোদ চশমা টেনে নিয়ে চম্পট দেয়। তারপর?

‘ছিঁচকে চোর’টি আসলে একটা বাঁদর। মন্দির চত্ত্বরে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। হঠাৎই মিমির মায়ের চশমা নিয়ে চম্পট দেয় সে। তারপর বিস্কুটের বিনিময়ে সেটি ফেরত পওয়া যায়। আর এরপর সেই ‘দুষ্টু’ বাঁদরের লক্ষ্য ছিল মিমির দামী, সাধের রোদ চশমা। চশমা নিয়ে চম্পট দিল বাঁদর। সেকী কাণ্ড! অগত্যা চশমা ফেরত পেতে তার পিছনে খালি পায়েই দৌড় দিলেন অভিনেত্রী। বললেন, ‘You just took my favorite Sunglasses!’

তখন রোদচশমা মুখে নিয়ে দৌড়াচ্ছ বাঁদরটি। মিমিও পিছন পিছন গেলেন খালি পায়েই। সহজে ফেরত দেওয়ার পাত্র নয় সে। চশমা নিয়ে সে একটা টোটোর নিচে গিয়ে বসল। এরপর মিমি তাকে কিছু একটা খাবার দিতে তবেই সে চশমাটি রেখে দিয়ে যায়। তাও সহজে নয়।

মিমিকে বলতে শোনা গেল, ‘সানগ্লাস কিঁউ লে লিয়া মেরা, ইয়ে খানে লাইক চিজ থোড়ি হ্যায়।’ তারপর ‘মেরে চশমা দে দে ইয়ার’ বলে দৌড়ালেন। তারপর চশমা রেখে, খাবার নিয়ে পালাল বাঁদর…। চশমা ফেরত পেতেই, পুরো কাণ্ডে হো হো করে না হেসে পারলেন না অভিনেত্রী।

এদিকে মিমির এই ভিডিওর নিচে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘যাতা ট্রিপ তো!’ কেউ আবার হা হা হা করে হেসে জিগ্গেস করেছেন, ‘কোথায় এটা পুরীতে?’ 

কারোর মন্তব্য, ‘বৃন্দাবনে এটা খুবই সাধারণ বিষয়। আমিও এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। তবে সেল ফোন নিয়ে সাবধান!’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘গুড জব মিমি। আপনার স্বর্গের মতো সৌন্দর্যের সঙ্গে স্মার্ট মস্তিষ্কও রয়েছে।’ কারোর প্রশ্ন, ‘বাঁদর হিন্দু বোঝে!’ কারোর দাবি, ‘খুবই ভালো বাঁদর, চশমাটাতো দিয়ে দিল।’ এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *