বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুককে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

Share Now..

বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুককে স্বাগত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চার প্রভাবশালী দেশের ফোরাম কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অস্ট্রেলিয়া মনে করে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের (আইপিএস) প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। একটি নিরাপদ ও বাণিজ্যবান্ধব ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। 

javascript:false

অস্ট্রেলিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিম ওয়াটস গতকাল রোববার (১৪ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

টিম ওয়াটস বলেন, আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ভালো এবং ভারসাম্যমূলক। আমরা চাই ভারত মহাসাগরীয় তথা ইন্দো-প্যাসিফিক হোক একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও উন্মুক্ত চলাচলের অঞ্চল। কোনো দেশ এখানে কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে না। কিংবা কোনো দেশ আরেক দেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না।

অস্ট্রেলিয়ার এই মন্ত্রী গত ১২-১৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান সম্মেলনে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ এখন ৩৬০ কোটি ডলার। আমরা টিফা নিয়ে আলোচনা করেছি। কৃষি, শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং জ্বালানি খাতে আমাদের সহযোগিতা সম্প্রসারণের আরও সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জ্বালানি সরবরাহকারী আস্থাশীল দেশ। নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে সুপারপাওয়ার হতে আগ্রহী। বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে আরো বেশি সহায়তা আমরা দিতে পারি। গার্মেন্টস খাতে অনেক কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে। আরো অনেক শিল্প খাতে আমরা সহায়তার ব্যাপারে আশাবাদী।

অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পূর্ণ হয়েছে। দুই দেশ এটি বিশেষভাবে উদযাপন করেছে। ২০২১ সালে দুই দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামো চুক্তি সই করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক কিভাবে আরো এগিয়ে নিতে পারি এবং টেকসই করতে পারি। আমরা মনে করি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দুই দেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন হতে পারে।

রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে মন্ত্রী টিম ওয়াটস বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এটি সাম্প্রতিকালের একক বৃহত্তম মানবিক সহায়তা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখন প্রয়োজন হলো রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন। এজন্য অস্ট্রেলিয়া প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাবে।  ইতিমধ্যে আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য ৪২ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দিয়েছি।

2 thoughts on “বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুককে স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *