বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতি তদারকি করতে ভারতে কমিটি গঠন
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পরিস্থিতি তদারকি করতে উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সীমান্তের পরিস্থিতি তদারকি ছাড়াও এই কমিটি বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয়ও বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করবে তারা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) এই তথ্য জানান ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত মাসে বাংলাদেশে সহিংসতা শুরু হয়। এই আন্দোলন রুপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে। এরপর গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, এরপর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাসায় হামলা হতে থাকে। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের হামলার খবরও পাওয়া যায়। এর জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
অমিত শাহ বলেন, এই কমিটি বাংলাদেশের এই কাজে নিয়োজিতদের সঙ্গে কাজ করবে। এদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ায় তাঁকে শুভকামনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই শুভকামনা জানান মোদি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা পদটি প্রধানমন্ত্রী পদমর্যাদার সমতুল্য।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাকে শুভকামনা জানান। মোদি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন তিনি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।