বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আটকা ২১৯ রোহিঙ্গা
বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের দ্বীপ শহর সাবংয়ে পৌঁছেছে ২১৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ১১টায় শরণার্থীর দলটি সেখানে পৌঁছে। কিন্তু স্থানীয়রা তাদের আশ্রয় না দিয়ে সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে চায়। বুধবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সমঝোতায় তাদেরকে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
এ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন উপকূলে গত এক সপ্তাহে তিন দফায় প্রায় ১ হাজার রোহিঙ্গা পৌঁছেছে।
২১৯ জন শরণার্থীদের ভেতর ৭২ জন পুরুষ, ৯১ জন নারী ও ৫৬ জন শিশু রয়েছে। বুধবার শিশুদের সাবংয়ের একটি সৈকতে খেলতে দেখা যায়। এসময় শরণার্থীদের নিরাপত্তাকর্মীরা নজরদারিতে রেখেছিল।
সাবংয়ের সোশ্যাল এজেন্সির প্রধান নওফাল জানায়, শরণার্থীদের লোকসিউমাওয়ের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হবে। ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শরণার্থীদের খাবার ও পানি দেওয়া হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের সহযোগী কর্মকর্তা ফয়সাল রহমান রয়টার্সকে বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের জাতীয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে আশ্রয় দিবে। বাংলাদেশ থেকে আচেহ যাওয়ার পথে শরণার্থীরা ১৫ দিন একটি ছোট নৌকায় করে সমুদ্রপথে কাটিয়েছে। তাদের নৌকার ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে গেছে। আর কোথাও যেতে পারছে না।
ইউএনএইচসিআর জানায়, এর আগে স্থানীয়রা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তিনবার আশ্রয় প্রত্যাখ্যান করেছে। এই বিষয়ে ফয়সাল বলেন, প্রত্যাখ্যান বিষয়টি এখন ভাইরাসের মতো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। পরিস্থিতি ইতিবাচক নয়।
আচেনিজরা মুসলিম হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহনশীল। তবে কেউ কেউ মনে করেন, রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং সম্পদ অযাচিতভাবে নষ্ট করে। তাই তাদের নিয়ে আতঙ্কিত।