বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল আজ
একপ্রকার অনুমিত ভাবেই ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত। নেপাল চেষ্টা করলেও ভারতের কাছে হেরে চুকে যায় তাদের আশা। তাই ফাইনালের লাইনআপেও আর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সাফ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের শিরোপাটা নিজের করে নিতে আজ সন্ধ্যা ৬টায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে লড়বে বাংলাদেশ-ভারত।ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলটা হয়ে গেছে গ্রুপ আগেই। সাত দিন আগের সেই ম্যাচে পেনাল্টি থেকে সামসুন্নাহারের একমাত্র গোলে ভারতকে (১-০) হারায় বাংলাদেশ। জয় পেলেও মারিয়া মান্দার দলের ফিনিশিং দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো।সেজন্য আজ শাহেদা আক্তার রিপার ওপর একটু বাড়তি প্রত্যাশাই থাকবে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের। ৫ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের তালিকার চূড়ায় রয়েছেন রিপা। সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১২-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার দিন হ্যাটট্রিক করেছিলেন কক্সবাজারের এই ফুটবলার। তাকে নিয়ে ছোটন বলেন, ‘রিপার প্রতি অবশ্যই আমার বাড়তি প্রত্যাশা আছে। অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যন্ত খেলে সে নিজেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছে। আশা করি ফাইনালেও সে এটা অব্যাহত রাখবে। সে যেকোনো মূহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে।’ টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত কোনো গোল হজম না করায় আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে বাংলাদেশ। তার ওপর গ্যালারি থেকে সমর্থকদের উত্সাহ যোগ করছে বাড়তি মাত্রা। ফাইনালে সেই সমর্থকরাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন বলে মনে করছেন ভারত কোচ অ্যালেক্স অ্যাম্বে্রাস।তিনি বলেন, ‘ফাইনাল সবসময় কঠিন, বিশেষ করে স্বাগতিকদের বিপক্ষে। সমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। তাই আমাদের খেলোয়াড়দের এটাই সময় নিজেদের ক্যারেক্টার শো করা এবং চাপ মেনে নিয়েই দারুণ কিছু করে দেখানো।’ তবে দল হিসেবে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখছেন না ভারত কোচ, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। আমি সবসময় তাদের খেলা দেখি। তারা ভারসাম্যপূর্ণ দল। ডিফেন্স, মিডফিল্ড ও অ্যাটাক, তিন বিভাগেই বাংলার মেয়েরা খুব শক্তিশালী।প্রতিপক্ষকে নিয়ে বাংলাদেশের কোচের কণ্ঠেও একই সুর। পুরো টুর্নামেন্টে যেভাবে খেলে এসেছেন ফাইনালেও সেই একইভাবে পরাস্ত করে শিরোপায় চুমু দিতে চান তিনি, ‘ভারত অবশ্যই শক্তিশালী দল। তবে আশা করছি আমরাই জয়লাভ করে মাঠ ছাড়ব। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখছি না। সবচেয়ে ভালো দিক যে, আমাদের বদলি খেলোয়াড়রাও মাঠে এসে নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে।