বার্বাডোজের কাছে হেরে বসল পাকিস্তান

Share Now..

পাকিস্তানের কমনওয়েলথ যাত্রার শুরুটা ভালো হলো না। প্রথম ম্যাচেই হেরে বসেছে বারবাডোজের কাছে। ক্যারিবীয় দলটির কাছে প্রথম ম্যাচে ১৫ রানে হেরেছে দলটি।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বারবাডোস চার উইকেট হারিয়ে করে ১৪৪ রান। বারবাডোজের বড় রানের দিশাটা মূলত দিয়েছিলেন হেইলি ম্যাথিউস আর কাইসিয়া নাইট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দু’জন জড়ো করেন ১০৭ রান। এর আগে ওপেনার ডিয়ান্ড্রা ডটিন ফেরেন ৫ বলে ৮ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটি রীতিমতো রানের পাহাড় দাঁড় করায় পাকিস্তানের ওপর।

বার্বাডোজের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কাইসয়া ৫৬ বলে করেন ৬২ রান। ৯টি চারের সাহায্যে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ওপাশে ম্যাথিউস অবশ্য খেলেছেন রয়েসয়ে, তার ৫১ রানের ইনিংস এসেছে ৫০ বল খরচে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫ম অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পথে ৪টি চার আর ১টি ছয় হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

ফাতিমা সানার কল্যাণে এই জুটি ভাঙে পাকিস্তান। ১৮তম ওভারে তার বলে ম্যাথিউস ফেরেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। শেষ ওভারে পাকিস্তানকে আরও এক সাফল্য এনে দেন এই সানাই, কাইশোনা নাইটকে ফেরান তিনি, ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে সেরা বোলিং বিশ্লেষণটা ছিল তারই।
১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম উইকেট খুইয়ে বসে প্রথম বলেই। শামিলিয়া কনেলের শিকার বনে ফেরেন ইরাম জাভেদ। এরপর ওপেনার মুনিবা আলি আর ওমাইমা সোহাইলকে দলটি হারায় ৯ ওভারের ভেতরই। ওপাশে অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ২৮ বলে ১২ রান করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তার ইনিংসের ইতি ঘটে ইনিংসের ১১তম ওভারে রান আউটের খড়্গে কাটা পড়ে।

এরপর পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান নিদা দার। ৩১ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। পঞ্চম টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক তুলে নিলেও দলের হার এড়াতে পারেননি নিদা। ওপাশে যে ব্যাটাররা ভুগছিলেন রান তুলতে! আলিয়া রিয়াজ করেন ২৪ বলে মাত্র ১৪ রান। যার ফলে ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় রানের সংখ্যাটা বাড়ছিল ক্রমেই, শেষমেশ পাকিস্তানের সঙ্গী হয় ১৫ রানের হার। কনেল, আলিয়াহ এলিন, ম্যাথিউস, আর ডটিন একটি করে উইকেট নেন।

পাকিস্তান নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে আগামী শুক্রবার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলবে সেই ম্যাচ। আর বারবাডোজ রোববার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *