বার্মিংহামে কম খরচে বড় আয়োজন
অ্যারেনা বার্মিংহাম, নগরীর বড় কনভেনশন সেন্টার। বার্মিংহাম ক্যানেলের ধারে গড়ে ওঠা এই ভবনকে ব্যবহার করা হচ্ছে কমনওয়েলথ গেমসের মিডিয়া সেন্টার হিসেবে। এখানে ভ্রাম্যমাণ জিমন্যাস্টিকস ভেন্যু প্রস্ত্তত করা হয়েছে। অ্যারেনা বার্মিংহামে বছর জুড়ে সাধারণত কনসার্ট, বড় বড় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। স্পষ্টতই যে, নগরীর এই স্থাপনাটির রূপ বদলে গেছে শুধু গেমসের কারণে। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে এবার ব্যবহার হচ্ছে ১৪টি ভেন্যু। যার মধ্যে আয়োজকদের নতুন করে নির্মাণ করতে হয়েছে শুধু একটি ভেন্যু। সেটি স্যান্ডওয়েল অ্যাকুয়াটিকস সেন্টার। যার কারণেই আয়োজকরা গর্ব করে বলছিলেন, আমরা কম খরচে বড় গেমস আয়োজন করছি।অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে সর্বশেষ আসরের চেয়ে ১৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড কম খরচ হচ্ছে বার্মিংহামে। এই আসরের বাজেট ৭৭৮ মিলিয়ন পাউন্ড। আলেকজেন্ডার স্টেডিয়ামে হয়ে গেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এখানে সমাপনী ও অ্যাথলেটিক্স ইভেন্ট হবে। এজবাস্টন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে নারী ক্রিকেট ইভেন্ট। ভ্রাম্যমাণ স্মিথফিল্ডে হবে বাস্কেটবল, ভলিবল। ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামে হকি, স্কোয়াশ অনুষ্ঠিত হবে। এভাবেই নগরীর বিভিন্ন স্হাপনাকে ব্যবহার করে গেমস আয়োজনের সবকিছু প্রস্ত্তত করা হয়েছে বার্মিংহামে।
গতকাল কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন (সিজিএফ) ও বার্মিংহামের আয়োজক কমিটি এক সম্মেলনে জানিয়েছেন, সবাই এখন এই মহাযজ্ঞের জন্য প্রস্ত্তত। সংবাদ সম্মেলনে সিজিএফের ড্রাম লুইজ মার্টিন, আয়োজক কমিটির প্রধান জন ক্যাবট্রি ও প্রধান নির্বাহী ইয়ান রিড উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাসের ধাক্কা পেরিয়ে গেমস আয়োজন করতে পেরেই খুশি ড্রাম লুইজ মার্টিন। তিনি বলেন, ‘কমনওয়েলথ গেমসের জন্য আজ (গতকাল) একটি বিশেষ দিন। করোনায় আমাদের কঠিন সময় কেটেছে। আবেগময় সময় এটি যে, আমরা সবাই মিলিত হতে পেরেছি। ৭২টি দেশ অংশ নিচ্ছে। আমি বলব, মঞ্চ প্রস্ত্তত। সবাই উদ্দীপ্ত, বড় আয়োজন বার্মিংহামে। আমার মতে, কমনওয়েলথ গেমসের ৭২ বছরের ইতিহাসে এটি গুরুত্বপূর্ণ আসর।’ আয়োজক কমিটির প্রধান জন ক্যাবট্রি অবশ্য বার্মিংহামে আসরটা মাঠে গড়াচ্ছে দেখেই আবেগাক্রান্ত। কারণ সমালোচনা ছিল যে, বার্মিংহাম এটি যথাসময়ে আয়োজন করতে পারবে না। নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল আয়োজকদের সামনে। সবচেয়ে বড় বাধা ছিল করোনার সংক্রমণ।