বিএনপি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামী গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিলো পুলিশ
\ স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ \
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বার) দুপুর ১২ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা চত্তর থেকে তাকে আটক করা হয়। যুবলীগ কর্মী রাজু আহমেদ আড়পাড়া গ্রামের কওসার মহুরীর ছেলে ও বিএনপি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার ৭৩ নং এজাহারভুক্ত আসামি। তবে পুলিশ বলছে, মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম ভুল করে রাজু আহমেদের নাম দিয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কালীগঞ্জ শহরের মিছিল শেষে থানা রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ৭৪ নং এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে মঙ্গলবার দুপুরে কালী থানার এসআই চয়নের নেতৃত্বে পুলিশের একদল তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজু আহমেদ গত ৫ আগস্টের আগে পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলের সাথে যুবলীগের রাজনীতি করতেন। সে বিএনপির দলীয় অফিস পোড়ানোর সাথে জড়িত। তার নাম জেনে-শুনেই দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যা বলছে সেটি বানোয়াট ও মিথ্যা। ঝিনাইদহ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এজাহারভুক্ত কোন আসামিকে আটকের পর পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। আর জিআর মামলা রেকর্ড হওয়ার পর এটির বাদী হয়ে যায় রাষ্ট্র আর অভিযোগকারী হয়ে যান স্বাক্ষী। একমাত্র আদালত তাকে জামিনের মাধ্যমে ছাড়তে পারে। আসামী ছাড়ার বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, মামলার বাদী বলেছে রাজু আহমেদের নাম ভুল করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দিয়েছি। কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি। আটকের পর আপনি ছেড়ে দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
Unleash your inner warrior gear up for the ultimate gaming experience Lucky Cola