বিজ্ঞান মেলায় স্টল থাকলেও নেই শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী।

Share Now..

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি \
কোটচাঁদপুর উপজেলা চত্বরে শুরু হয়েছে ৪৫তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ (বিজ্ঞান মেলা)। মঙ্গলবার (৩০শে জানুয়ারি) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলা উদ্ভোধন করা হয়। মেলায় সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের বরাদ্ধকৃত স্টল থাকলেও দেখা যায়নি কোন ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষকদের। স্টোলটি শুন্য কেন খোঁজ নিয়ে দেখছি বললেন, নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলা চত্বরে উদ্ভোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৪৫তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ (বিজ্ঞান মেলা)। এ মেলায় মোট ১৭ টি স্টল ছিল। যার মধ্যে ছিল ৯ টা বিদ্যালয়, ৪ টি কলেজ ১ টি মাদ্রাসা ও ২ টি বিজ্ঞান ক্লাব। এ সব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেলায় অংশ গ্রহণ করেন, কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা কলেজ, কোটচাঁদপুর পৌর ডিগ্রি কলেজ, সাবদারপুর দোড়া ডিগ্রি কলেজ, কোটচাঁদপুর কামিল মাদ্রাসা, কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোটচাঁদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, শেরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শেখ মোজাফফর হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালিনা ইকড়া চাঁন্দেরপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোটচাঁদপুর বিজ্ঞান ক্লাব, উপজেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাব, সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমী,ত ালসার কাজী লুৎফর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তবে দেখা যায়নি কোটচাঁদপুর সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের স্টোলে ছাত্র /ছাত্রী ও শিক্ষকদের। কলেজে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা চলছে। এ জন্য মেলায় ছাত্র/ছাত্রীরা মেলায় অংশ গ্রহন করেনি বলে জানিয়েছেন, কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খায়রুজ্জামান। তিনি বলেন, এরপর ও আমি তাদের বলে ছিলাম। তারা মেলায় অংশগ্রহন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেনি। ওই কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র রিফাত রায়হান বলেন, শুধুমাত্র আমাদের অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা হচ্ছে। আর বিকেলে কোন পরীক্ষা কারো নাই। আগামী ২ তারিখ থেকে সবার পরীক্ষা হবে বলে জানান ওই ছাত্র। কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা কলেজের প্রভাষক রোজি আক্তার বলেন, ১ তারিখ থেকে সব কলেজের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ওনারা হয়তো আগে শুরু করেছেন। তিনি বলেন এরপরও তো কলেজের অন্য ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীরা রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে এসে মেলায় অংশ গ্রহন করতে পারতেন। সাবদারপুর দোড়া ডিগ্রি কলেজ প্রভাষক কাজী আঁখি সুলতানা বলেন, স্টোলে তাদের অনুপস্থিতিটা ভাল লাগছে না। কারন তারা শহরের প্রাণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান। ওনারা সব থেকে ভাল ছাড়া ছাত্রী নিয়ে কাজ করেন। তাদেরকে দেখে আমরা ও আমাদের ছেলে মেয়েরা শিখবেন। আর তাদের ছেলে মেয়েদেরিই কোন অংশ গ্রহন নাই স্টোলে। এটা দেখে আমাদের ভালো লাগছে না। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি পাশে অংশ গ্রহন করা কলেজের স্টোলের শিক্ষকদের সঙ্গে ও কথা বলছিলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, আমিও দেখেছি সরকারি কলেজের স্টলটি শূন্য পড়ে আছে। কোন সাজানো গোছানো আছে, তবে কোন ছাত্র /ছাত্রী নাই। নাই কোন শিক্ষক প্রতিনিধিও। তিনি বলেন, আমি এখনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে দেখছি, তারা কেন আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *