বিদায় বেলায় আবেগতাড়িত ওয়ার্নার 

Share Now..

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ২৬ সেঞ্চুরি, ৩৭ ফিফটির সঙ্গে ৮ হাজার ৭৩৬ রান। সাদা পোশাকের রঙিন এক ক্যারিয়ার শেষ করলেন অজি এই ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট শেষে ওয়ার্নারের জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিদায় বেলায় বেশ আবেগতাড়িত হন অজি ওপেনার। 

ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ার্নার বলেন, ‘এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার চেয়েও বিশেষ কিছু। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, অ্যাশেজ ড্র এবং এরপর বিশ্বকাপ। এখানে এসে ৩-০ ব্যবধানে জয় অসাধারণ অর্জন। দুর্দান্ত সব ক্রিকেটারের সঙ্গে থাকতে পারাটা গর্বের মনে করি। নেটে ও জিমে তারা অনেক পরিশ্রম করে। অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে ফিজিও, স্টাফরাও। কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে। তারা অসাধারণ। তাদের আর কখনো নেটে মোকাবিলা করা হবে না।’

নিজের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জীবনের বড় একটা অংশ তারা (গ্যালারিতে উপস্থিত স্ত্রী-সন্তান, মা ও বাবা), তাদের সমর্থন ছাড়া এতদূর আসা হতো না। মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা, আমার ভাই স্টিভের প্রতিও, যাকে অনুসরণ করেছি সবসময়। তারপর ক্যান্ডিস (স্ত্রী) আমার পুরো যাত্রায় সঙ্গী ছিল। সবাই মিলে এটি একটি সুন্দর পরিবার, যাদের আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাছে পেতে চাই। এর বেশি বলা সম্ভব নয়, আমি আবেগতাড়িত হয়ে যাব। কিন্তু ধন্যবাদ ক্যান্ডিস, তুমি যা করেছ, তুমিই আমার বিশ্ব এবং আমি এর প্রশংসা করি।’

ওয়ার্নার বলেন, ‘আমি চাই আমার দেওয়া রোমাঞ্চকর, বিনোদন এবং সবার মধ্যে যে হাসিটা ছড়িয়েছি, তা যেন সবাই মনে রাখে। আশা কারি যে পথে আমি খেলে এসেছি, সন্তানরাও যে পথেই আমাকে অনুসরণ করুক। সাদা বল থেকে লাল বলের ক্রিকেট, এটাই আমাদের খেলার চূড়ান্ত পর্যায়। তাই আমি টেস্ট ক্রিকেটের জন্যও তাদের পরিশ্রমী দেখতে চাই, কারণ এটিও অন্য ফরম্যাটের মতো সমান আনন্দদায়ক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *