বিরল ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু আরাবীর বাঁচার আকুতি; সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন
\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
চুয়াডাঙ্গায় বিরল এক ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী ১০ বছরের শিশু তাহমিদ খন্দকার আরাবী। সে দূরারোগ্য জটিল ‘ইমিউন ডিজরেগুলেশন উইথ সিসটেমিক হাইপার ইনফ্লামেশন সিনড্রোম’ ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই ক্যান্সারের এক মাত্র চিকিৎসা অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন। ছোট্ট শিশুর এমন কঠিন অবস্থায় দিশেহারা গোটা পরিবার। অনিশ্চয়তা ভর করেছে সকলের উপর। বিছানাগত শিশু আরাবী আবার সুস্থ হতে চায়, ফিরতে চায় বিদ্যালয়ে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর শহরের মোবারকপাড়ার মধ্যবৃত্ত পরিবার পেয়ারী খানম ও মনির খন্দকার দম্পতির ছোট মেয়ে শিশু আরাবী। বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর মা স্কুল শিক্ষিকা। আরাবীর বাবা-মা বলেন, বছর দুই আগেও মেয়ে সাধারণ পড়াশোনার পাশাপাশি আরাবী পড়াশুনায় ছিল মনোযোগী। পুরোপুরি সুস্থ সবল ও দূরন্ত আরাবীর জীবনে কাল হয়ে আসে এক সময়ের জ্বর। দীর্ঘদিনের জ্বরে দুর্বল হয়ে পড়ে আরাবীর শরীর। দেশের বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা করিয়েও মেলেনি কোন ফল। সহায় সম্বল হারিয়েও রোগ শনাক্তে ব্যর্থ হয় মধ্যবিত্ত এই পরিবারটি। পরে ছয় দফায় ভারতে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিরল এ রোগের উপস্থিতি মেলে শিশু আরাবীর শরীরে। যার একমাত্র চিকিৎসা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান। শিশু আরাবীর রোগ শনাক্তের পেছনেই ব্যয় হয়েছে অন্তত ১৩ লাখ টাকা। এখন তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৪০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। আর চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া আসা চিকিৎসা খরচ সহ দীর্ঘ সময় সেখানে অবস্থান করতে আরো ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হবে। সবমিলিয়ে প্রায় ১ কেটি টাকার প্রয়োজন। যা বহন করা আমাদের এই ছোট্ট পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। আরাবীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ কুমার দত্ত বলেন, আরাবী অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। ছোট্ট শিশুর এই বিরল রোগের কথা শুনে আমি খুব মর্মাহত হয়েছি। আরাবী লেখা পড়ার পাশাপাশি আঁকতে খুব পছন্দ করে। লেখাপড়ায় সে ১ থেকে ২এর মধ্যে থাকে। শিক্ষক হিসেবে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার আহŸান শিশু আরাবিকে বাঁচাতে আপনারা সহযোগিতা করুন। আমি তার জন্য দোয়া করি দ্রæত সুস্থ হয়ে আবারো ফিরে আসুক স্কুলে। আরাবীর মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়ে হাসিখুশিতে ভরা, দূরন্ত চঞ্চল মেধাবী শিশু আরাবী আবারও ফিরতে চায় স্কুলে। নিয়মিত হতে চায় পড়ালেখায়। সবার সাথে হাসতে চায়, নতুন করে বাঁচতে চায়। মেয়েকে বাঁচাতে দেশ-বিদেশের সকল ভাই বোনদের কাছে সহযোগীতা চেয়ে বলেন আপনাদের সামান্য কিছু টাকায় আমার ছোট্ট মেয়েটা ফিরে পাবে নতুন জীবন। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার সার্জারী বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. মো. একরামুল হক জোয়ার্দ্দার জানান, ইমিউন ডিজরেগুলেশন উইথ সিসটেমিক হাইপার ইনফ্লামেশন সিনড্রোম ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির হাতে কোন কিছুর নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। এর একমাত্র চিকিৎসা অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান।
(সহযোগীতা পাঠানোর ঠিকানা)
বিকাশ নাম্বার -০১৯১২৯৮৮৪৩৭
নগদ নাম্বার -০১৯১২৯৮৮৪৩৭
রকেট নাম্বার -০১৯১২৯৮৮৪৩৭০