বিশ্বে সাইবার জালিয়াতিভিত্তিক মানব পাচার বাড়ছে: ইন্টারপোল

Share Now..

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংগঠন ইন্টারপোলের চালানো প্রথম মানব পাচার বিষয়ক সাইবার জালিয়াতির অভিযানে দেখা গেছে, গোটা বিশ্বে এ অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে। আর এর বিস্তৃতি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে লাতিন আমেরিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

বৈশ্বিক অপরাধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি বলেছে, অক্টোবরে এমন শত শত মানব ও পণ্য পাচারের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে ২০টির বেশি দেশের আইশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে চালানো অনলাইন জালিয়াতির মাত্রা গিয়ে পৌঁছেছে ‘শৈল্পিক পর্যায়ে, যেখানে শারীরিক নিপীড়নের’ নজিরও মিলেছে।

সংস্থাটির তথ্য অনুসারে, এ যৌথ অভিযানে শত শত অপরাধীকে গ্রেফতার করার পর এ অপরাধের ‘ভৌগোলিক পদচিহ্নের’ ইঙ্গিত মিলেছে। আর মালয়েশিয়ার নাগরিকদের উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে পেরুতে পাচার এবং উগান্ডার নাগরিকদের দুবাই, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে ইন্টারপোল, যেখানে সশস্ত্র প্রহরায় বন্দি করে মানুষকে ব্যাংক জালিয়াতি শেখানো হয়। 

এমন সিংহভাগ ঘটনার কেন্দ্রস্থল এখনো দক্ষিণপূর্ব এশিয়া হলেও ইন্টারপোলের ‘ভালনারেবল কমিউনিটিস’ বিভাগের সহকারী পরিচালক রোজমেরি নালুবেগা এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম দিনদিন ছড়িয়ে পড়ছে, যেখানে ভুক্তভোগীদের অন্য কোনো মহাদেশ থেকে পাচার করা হয়। আর জালিয়াতির নতুন কেন্দ্র হিসেবে মাথাচাড়া দিচ্ছে লাতিন আমেরিকার মতো অঞ্চলগুলো। বলা হয়ে থাকে, এ ধরনের অপরাধের সূত্রপাত ঘটেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, বিভিন্ন অপরাধী দল এমন হাজার হাজার মানুষ পাচার করে বিভিন্ন ‘স্ক্যাম সেন্টার’ ও অবৈধ অনলাইন অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করাচ্ছে। আর এর প্রবণতা বেড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোয়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, এ ধরনের উদীয়মান স্ক্যাম সেন্টার থেকে প্রতি বছর শত শত কোটি মার্কিন ডলার আয় করছে অপরাধীরা। গত মাসে এ ধরনের অপরাধের আর্থিক সহায়তার উত্স নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় এক তদন্ত প্রতিবেদনে। এতে দেখা যায়, কীভাবে একজন চীনা নাগরিকের নামে নিবন্ধিত ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট থেকে থাইল্যান্ডে লাখ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক ব্লকচেইন বিশ্লেষক কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ঐ অর্থ যে ক্রিপ্টো ওয়ালেট থেকে পাচার হয়েছিল তা আগে থেকেই জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। আর এর ভুক্তভোগী ছিলেন একজন মার্কিন নাগরিকও। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *