বিয়ের ৫ বছরে বিদেশী স্ত্রী নিয়ে কেমন আছেন মিঠুন এলিজাবেথ দম্পত্তি ?

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টর, ঝিনাইদহঃ
আড়াই মাসের প্রেমে ঝিনাইদহের মিঠুনের জীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে আসেন মার্কিন তরুনী এলিজাবেথ। পরিচয় থেকে প্রেম তারপর উড়াল দিয়ে এলিজাবেথ নিজেই মিঠুনের কাছে চলে আসেন। কালীগঞ্জের রাখালগাছি গ্রামে হয় তাদের জাকজমক বিয়ে। বিয়ের পর এলিজাবেথ দুইবার স্বামীর কাছে ছুটে এসে সংসার করে যান। তারপর এখন তাদের স্বর্ণযুগ। স্বামী মিঠুনকে আমেরিকার নাগরিত্ব দিয়ে নিয়ে গেছেন তার কাছে।

দু’জনাই এখন চাকরী করেন। শুনতে সিনেমার গল্পের মতো মনে হলেও বাংলাদেশীর প্রেমে ছুটে আসা এলিজাবেথ আর দশ জন তরুনীর মতোই বিদেশী যুবতী। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মিঠুনের শৈশব কেটেছে দুরন্তপনায়। খুলনা আজম খান কমার্স কলেজ থেকে বিবিএ পাস করে চাকরির চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সেখানে কনষ্ট্রাকশনের ওপর বিশেষ কোর্স শেষে দেশে ফিরে আসেন। সিঙ্গাপুরে থাকতে ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় মার্কিন তরুণী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সিটির রয় এমলিকের কন্যা এলিজাথের সঙ্গে। বন্ধুত্ব থেকে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মিঠুন এলিজাবেথ। তাদের কখনও দেখা মিলবে এমনটা কখনও ভাবেননি। মাত্র আড়াই মাসের প্রেমে এলিজাবেথ সবাইকে চমকে দিয়ে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি ছুটে আসেন বাংলাদেশে। এই অচেনা অজানা গ্রামীন পরিবেশ পেয়ে মুগ্ধ হন তিনি। এদেশীয় ও ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে খুলনার শালক এজি চার্চে তাদের বিয়ে হয় ওই বছরের ৯ জানুয়ারি। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, মিঠুনের পরিবার কৃষিনির্ভর ও তারা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ছোটবেলা থেকে মিঠুন ভদ্র স্বভাবের ও লেখাপড়ায় অনেক মেধাবী ছিলেন। বিদেশি মেয়ে হলেও তার আচার-ব্যবহার বাঙালিদের মতো সাধাসিধে এলিজাবেথের। মিঠুনের বাবা নির্মল বিশ্বাস জানান, এলিজাবেথ খুব ভালো মেয়ে। বিদেশি পরিবেশে বড় হলেও সে অত্যন্ত মানবিক হৃদয়ের। এদেশে এসে সে দুই মাস করে থেকে গেছেন। সংসারের সবাই তার ওপর খুশি। বিয়ের ৫ বছর পার হলেও এখনও প্রতিদিন রাতে মোবাইলফোনে বাড়ির সবার খোঁজ-খবর নেয়। এলিজাবেথের মা-বাবা সন্তুষ্টি হয়ে ইতোমধ্যে তাদের সবার জন্য উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন। মিঠুনের বড় ভাই পলাশ জানান, আমেরিকার ভার্জিনিয়া প্রদেশের স্টারলিং শহরে এলিজাবেথ মিঠুন বসবাস করছেন। মিঠুন নাগরিকত্ব লাভ করে একটি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। মিঠুন বিশ্বাস জানান, এখন আমরা সুখে-শান্তিতে সংসার করছি। এলিজাবেথ বাংলা বলতে শিখছে। বিয়ের আগে ওর পরিবার বাধা দিলেও এখন তারা এই বিয়ে মেনে নিয়েছেন। এলিজাবেথের বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে সব সময় কথা হয়। তারাও এখন খুশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *