বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জখম অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে

Share Now..


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মর্জিনা বেগম (৬০) নামে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধার ছেলে বাদি হয়ে থানায় তিনজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে আহত বৃদ্ধাকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সুস্থ্য হওয়ার আগেই অর্থ সংকটে ওষূধ কিনতে না পারায় বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে অসুস্থ্য বৃদ্ধাকে বাড়িতে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামে।
বৃদ্ধার ছেলে জসিম উদ্দীন জানান, গত শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর আমার স্ত্রী মা নিয়ে গালমন্দ করে। এছাড়া আমার মা’র চরিত্র নিয়ে কথা বলে। এসময় আমি রাগান্বিত হয়ে আমার স্ত্রীকে চড় থাপ্পল মেরেছিলাম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাতেই আমার স্ত্রী তার ভাইদের ফোন করে। তারা রাতেই আমাদের বাড়িতে এসে আমার এবং আমার মা’কে বেঢড়ক মারপিট করে। এসময় তাদের লাঠির আঘাতে আমার মায়ের মাথা কেটে যায়। রাতে প্রতিবেশিদের সহযোগীতায় কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা যশোর হাসপাতালে রেফার করেন। তবে সেখানেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে বাড়িতে এনে রাখা হয়েছে। বর্তমানে মা’র মাথায় ইনফেকশন হয়ে গেছে, অবস্থা ভালো না।
এ ঘটনায় পরের দিন আমার স্ত্রী শাহিদা খাতুন, শাহিদার ভাই শহিদুল ইসলাম ও আমার মামা শশুর রাবেকের নামে মামলা দায়ের করি।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম জানান, আমার বোনের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৫ বছর। এরপর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করে। ঘটনার দিনই নির্যাতনের সংবাদ পেয়ে তাদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে ঘটনা জানার সময় বাকবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তবে কিভাবে জসিমের মা’র মাথা কেটেছে তা আমি বলতে পারবো না।
বারোবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মকলেচুর রহমান জানান, পারিবারিক দ্বন্দকের কেন্দ্র করে ঘটনার দিন শাহিদা নামের ওই মহিলা তার ভাইদের খবর দেয়। এরপর শাহিদার ভাইও তার সঙ্গীরা এসে বৃদ্ধা মর্জিনাকে মারপিট করে জখম করে। বৃদ্ধার মাথায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। শাহিদা একজন বদমেজাজী মহিলা বলেও উল্লেখ করেন এই পুলিশের এসআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *