ব্রাজিল-ইকুয়েডর ম্যাচ যেন ফুটবল নয়, রেসলিং
ইনজুরির কারণে সেরা তারকা নেইমারকে দলে রাখেননি কোচ তিতে। অবশ্য আগেই কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে রেখেছে ব্রাজিল। ফলে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচে নেইমারকে না দেখে খুব একটা আশাহত হননি দর্শকরা। কারণ, নেইমারকে ছাড়া ব্রাজিল আগেও খেলেছে এবং কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়েরও রেকর্ড আছে।
কিন্তু আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ভোরে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলতে নেমে নেইমারবিহীন ব্রাজিল যেন হতাশ করলো। জয় তুলে নিতে পারেনি। উল্টো প্রতিপক্ষের সঙ্গে তারা যেন রেসলিং খেলতে নেমেছিল। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ইকুয়েডরের অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে বল দখল করতে গিয়ে তার মুখে পা উঠিয়ে দেন ব্রাজিলের গোলকিপার আলিসন বেকার। সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ডও পেয়ে বসেন লিভারপুল তারকা। তবে ভিএআরের সাহায্যে যে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। কলম্বিয়ান রেফারি উইলমার রোলদান লাল কার্ড বদলে হলুদ কার্ড দেখান।
পরে শেষ দিকে নির্ধারিত সময়ের যোগ করা পঞ্চম মিনিটেও একই কাণ্ড করে বসেন আলিসন। এবার ইকুয়েডরের মিডফিল্ডার এরতন প্রেসিয়াদোর সঙ্গে বল দখল করতে গিয়ে মুখে ঘুষি মেরে বসলেন যেন আলিসন! ফলে আবারও লাল কার্ড। আবারও ভিএআরের সহায়তায় রক্ষা।
এর বাইরে ১-১ গোলে ড্র হওয়া এই ম্যাচের ১৫ মিনিটেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইকুয়েডরের গোলকিপার আলেক্সান্ডার দমিঙ্গেজ। ২০ মিনিটের মধ্যে দুই হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রাজিলের রাইটব্যাক এমারসন রয়্যাল। পুরো ম্যাচ উভয় দলই ১০ জন নিয়ে খেলেছে।
ব্রাজিলের হয়ে ৬ মিনিটের সময় গোলটি করেন কাসেমিরো। আর ৭৫ মিনিটে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান ফেলিক্স তোরেস। ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে হলুদ কার্ড দেখেছেন আলিসন, রাফিনিয়া ও এদের মিলিতাও। ইকুয়েডরের ভ্যালেন্সিয়া ও মোজেস কায়সেদো হলুদ কার্ড দেখেছেন। পুরো ম্যাচে মোট ফাউল হয়েছে ৩২ বার। আর এককভাবে ইকুয়েডর করেছে ২০ বার।