ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু

Share Now..

ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দিতে গিয়ে অন্য চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু

ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাসা-বাড়ির আঙিনায় কিংবা আনাচেকানাচে জমে থাকা পানিতে এখন এডিস মশার লার্ভা। ফলে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু ৫৫ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর আগ্রাসি রূপ থাকবে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন।

সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দিতে গিয়ে অন্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ডেঙ্গু চিহ্নিত শত্রু, তারপরও তা দমন করা যাচ্ছে না। এডিস মশা নির্মূল করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা। গত ২৩ বছরেও পুরোনো রোগটি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। উলটো এটি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে শহুরে ডেঙ্গু এখন গ্রামেও সমান দাপট বিস্তার করেছে; কিন্তু ডেঙ্গু মোকাবিলায় কীটতত্ত্বভিত্তিক স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি। এখনো সিটি করপোরেশনগুলো মশক নিধনে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই সুযোগে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সামনে স্কুল-কলেজ খুলবে। তখন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৬১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের। এ নিয়ে দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল। জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হলো ৩ হাজারের বেশি রোগী। আরও দুজনের মৃত্যুতে কেবল জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনেই মৃত্যু হলো ১৭ জনের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যে ৬৬১ জন ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে ৪৩৩ জন ঢাকার এবং ২২৮ জন ঢাকার বাইরের। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে এ বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ হাজার ১১৬ জনে। স্বাস্থ্য বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, চিকিৎসা না করার কারণে ডেঙ্গু বাড়ছে। এটা সঠিক নয়। মশা মারা তো স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব নয়। স্বাস্থ্য বিভাগ চিকিৎসাসেবার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। ডেঙ্গুর আগ্রাসি সময়ও চিকিৎসকরা রোগীদের সর্বাত্মক সেবা দিচ্ছেন। তারা বলেন, মশা মারার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত। মশা মারলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে যাবে। কিন্তু মশক নিধন না করে সিটি করপোরেশন নিজ ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। মশা মারা নিয়েও দুর্নীতি চলছে। এই দুর্নীতি ও ব্যর্থতার ঢাকার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।এবার বর্ষা শুরুর আগে থেকেই এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ৪ জুন দেশে ৬৭৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয় জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে দুই জন, মে মাসে দুই জন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। মঙ্গলবার বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকার ১১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৭টিতে ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি পাওয়া গেছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। যাত্রাবাড়ী থেকে মানিকনগর, মুগদা, বাসাবো, রামপুরা, দক্ষিণ ও উত্তর খান এই এলাকায় বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এটা চিহ্নিত। এ কারণে মুগদা হাসপাতালে রোগী আসছে বেশি। এখানে এখন আর জায়গা নেই। মহাখালীতে ডেঙ্গু ডেডিকেড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এমিরেটস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, মশা নিধন করতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। যেহেতু এটা চিহ্নিত শত্রু, তাই তাকে নির্মূল করতে যৌথ সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে। রাজধানীর বাসার মালিকদেরও সচেতন হবে। বাড়ি ও এর আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবেঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, এই হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১৮১ জন। আগের দিন বুধবার ভর্তি ছিল ১৪৫ জন। অর্থাৎ রোগী বাড়ছে। এই অবস্থায় আমরা টেনশনে আছি। হাসপাতালে শিডিউল অপারেশন আছে, সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর ওপর ডেঙ্গু বাড়তি চাপে ফেলেছে। সামনে ডেঙ্গু বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এরপর আবার ইন্টার্ন ডাক্তাররা শনিবার থেকে ধর্মঘটে যাচ্ছেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। নতুন করে ১৮ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫০ জন। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসাসেবার জন্য আসছে।
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু

ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দিতে গিয়ে অন্য চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম
ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু

ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাসা-বাড়ির আঙিনায় কিংবা আনাচেকানাচে জমে থাকা পানিতে এখন এডিস মশার লার্ভা। ফলে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু ৫৫ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর আগ্রাসি রূপ থাকবে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন।

সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দিতে গিয়ে অন্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ডেঙ্গু চিহ্নিত শত্রু, তারপরও তা দমন করা যাচ্ছে না। এডিস মশা নির্মূল করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টরা। গত ২৩ বছরেও পুরোনো রোগটি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। উলটো এটি আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে শহুরে ডেঙ্গু এখন গ্রামেও সমান দাপট বিস্তার করেছে; কিন্তু ডেঙ্গু মোকাবিলায় কীটতত্ত্বভিত্তিক স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি। এখনো সিটি করপোরেশনগুলো মশক নিধনে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এই সুযোগে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে সামনে স্কুল-কলেজ খুলবে। তখন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৬১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের। এ নিয়ে দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল। জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনেই হাসপাতালে ভর্তি হলো ৩ হাজারের বেশি রোগী। আরও দুজনের মৃত্যুতে কেবল জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনেই মৃত্যু হলো ১৭ জনের। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যে ৬৬১ জন ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে ৪৩৩ জন ঢাকার এবং ২২৮ জন ঢাকার বাইরের। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে এ বছর সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ হাজার ১১৬ জনে। স্বাস্থ্য বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, চিকিৎসা না করার কারণে ডেঙ্গু বাড়ছে। এটা সঠিক নয়। মশা মারা তো স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব নয়। স্বাস্থ্য বিভাগ চিকিৎসাসেবার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। ডেঙ্গুর আগ্রাসি সময়ও চিকিৎসকরা রোগীদের সর্বাত্মক সেবা দিচ্ছেন। তারা বলেন, মশা মারার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত। মশা মারলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে যাবে। কিন্তু মশক নিধন না করে সিটি করপোরেশন নিজ ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। মশা মারা নিয়েও দুর্নীতি চলছে। এই দুর্নীতি ও ব্যর্থতার ঢাকার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।এবার বর্ষা শুরুর আগে থেকেই এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ৪ জুন দেশে ৬৭৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১০৩৬ জন এবং জুন মাসে ৫৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয় জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে দুই জন, মে মাসে দুই জন এবং জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। মঙ্গলবার বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকার ১১৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৭টিতে ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি পাওয়া গেছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। যাত্রাবাড়ী থেকে মানিকনগর, মুগদা, বাসাবো, রামপুরা, দক্ষিণ ও উত্তর খান এই এলাকায় বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। এটা চিহ্নিত। এ কারণে মুগদা হাসপাতালে রোগী আসছে বেশি। এখানে এখন আর জায়গা নেই। মহাখালীতে ডেঙ্গু ডেডিকেড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এমিরেটস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, মশা নিধন করতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। যেহেতু এটা চিহ্নিত শত্রু, তাই তাকে নির্মূল করতে যৌথ সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে। রাজধানীর বাসার মালিকদেরও সচেতন হবে। বাড়ি ও এর আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবেঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, এই হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১৮১ জন। আগের দিন বুধবার ভর্তি ছিল ১৪৫ জন। অর্থাৎ রোগী বাড়ছে। এই অবস্থায় আমরা টেনশনে আছি। হাসপাতালে শিডিউল অপারেশন আছে, সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর ওপর ডেঙ্গু বাড়তি চাপে ফেলেছে। সামনে ডেঙ্গু বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এরপর আবার ইন্টার্ন ডাক্তাররা শনিবার থেকে ধর্মঘটে যাচ্ছেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। নতুন করে ১৮ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫০ জন। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসাসেবার জন্য আসছে।

1,065 thoughts on “ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *