ভাঙ্গায় মাছ ধরা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০ 

Share Now..

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মাছ ধরা নিয়ে একই গ্রামের দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সরৈবাড়ী গ্রামে হওয়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- হাসমত হাওলাদার (৬৫), আবুল হোসেন মাতুব্বর(৬০), লতিফ হাওলাদার (৬০) ও রাজু চৌধুরী (২৯)। এছাড়াও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন  জুবায়ের হাওলাদার (৩২), পান্নু মাতুব্বর (৫০), ওবায়দুর রহমান (৪০), রসমত হাওলাদার (৪৪), আবু জাফর হাওলাদার, রুবেল চৌধুরী (৩৫), মিন্টু খান (৪৪), নাসির চৌধুরী (৪৪), শরীফ খান (২৭), রফিক চৌধুরী (২৭), রুবেল হাওলাদার (৩৫), ইয়াসিন (২৩)। গ্রামবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সরইবাড়ী গ্রামের ফিরোজ খাঁন ও বতু হাওলাদার গ্রুপের সঙ্গে হাবিব তালুকদার গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। রোববার সকালে হাবিব তালুকদার গ্রুপের হাসমত ও আবু জাফর তালুকদারের পুকুরে থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায় খাঁন গ্রুপের বতু ও ছিরু হাওলাদারের লোকজন। এ নিয়ে রোববার তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয় । 

সেই জেরে সোমবার সকালে হাসমত কারীকে একা পেয়ে  মারধর করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনা গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দুপক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোকছেদুর রহমান জানান, সরৈবাড়ী গ্রামে পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশের ২টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনো কোন পক্ষ অভিযোগ দেন নাই, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

One thought on “ভাঙ্গায় মাছ ধরা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *