ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট নীতি’র স্তম্ভ বাংলাদেশ!
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের স্থলসীমান্ত চুক্তি হয়েছে। কীভাবে সফল কূটনীতি একটি শক্তিশালী সম্পর্কের ক্ষেত্রে সরাসরি অবদান রেখেছে এটি তার উদাহরণ।’গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিষয়ে বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘যদি একটি সীমান্ত এবং একটি অঞ্চল (ভারতের) থাকে, যা গত এক দশকে নাটকীয়ভাবে উন্নতি করেছে, তবে এটি প্রকৃতপক্ষে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত। আর এর কারণ হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিরাট উন্নতি হয়েছে।’এছাড়া সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশে একটি বিমানবন্দর নির্মাণ ও পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশটি আগরতলা বিমানবন্দরের উন্নতি ও সম্প্রসারণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক টুকরো বাংলাদেশি জমি চেয়েছে। যা এই বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে চলেছে। এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে ফ্লাইট শুরু হবে।
এর মাধ্যমে ভারত তার ‘অ্যাক্ট ফাস্ট ফর নর্থইস্ট পলিসি’ বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া আগরতলা-আখাউড়া (বাংলাদেশ) রেল সংযোগ জুন মাসে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের আসামের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-কৌশলগত অবস্থানে অবস্থিত।
কৌশলগত অবস্থানের কারণে, বাংলাদেশ ও আসামের মধ্যে ব্যবসা, পরিবহন, বাণিজ্য ও সংযোগের অনেক সুযোগ রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের সেতু হিসেবে, বাংলাদেশ অ্যাক্ট ইস্ট নীতির একটি প্রাকৃতিক স্তম্ভ।