ভেরেইনের সেঞ্চুরিতে বড় লিড নিয়ে থামলো দক্ষিণ আফ্রিকা

Share Now..

মিরপুর টেস্টে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রথম দিনে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কাইল ভেরেইন। তার সেঞ্চুরিতে ২০২ রানের বড় লিড নিয়ে থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

দ্বিতীয় দিনে উইকেটের খোঁজে তাইজুল, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তবে উইকেটের দেখা পেতে ব্যর্থ হয় তারা। আগের দিনে অপরাজিত দুই ব্যাটার কাইল ভেরেইন ও উইন মুল্ডার সাবলীলভাবে ব্যাট করতে থাকেন। ৬৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ভেরেইন। টেস্ট ক্যারিয়ারের এটি তার চতুর্থ ফিফটি।  ভেরেইনের পর ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পান মুল্ডারও। ১১৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। যা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৮০ রানের জুটিতেও ছিলেন মুল্ডার। ২০২২ সালে পোর্ট এলিজাবেথে কেশব মহারাজকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। 

ইনিংসের ৬৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। পর পর দুই বলে মুল্ডার ও কেশভ মহারাজকে সাজঘরে ফেরান তিনি। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করলেও তা করতে পারেননি হাসান।  মুল্ডার ১১২ বলে ৫৪ ও মহারাজ রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ক্রিজে আসা ড্যান পিডটকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ভেরেইন। বিরতি থেকে ফিরেও সাবলীলভাবে ব্যাট করতে থাকেন ভেরেইন। তাকে সঙ্গ দেন পিডট। ১৩৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ভেরেইন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

পিডটকে সঙ্গে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ভেরেইন। তবে দলীয় ২৯৩ রানে ৮৭ বলে ৩২ রান করে আউট হন পিডট। শেষ ব্যাটার হিসেবে ভেরেইন আউট হলে ৩০৮ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪৪ বলে ১১৪ রান করে ভেরেইন।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *