মহেশপুরে আম্পানের তান্ডবে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়ার এক বছর পার হলেও এখনও অনের অসহায় মানুষের কপালে জোটেনি সরকারী কোন সাহায্য

Share Now..


মহেশপুর প্রতিনিধিঃ
মহেশপুরে আম্পানের আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়ার এক বছর পার হলেও এখনও অনের অসহায় মানুষের কপালে জোটেনি কোন সরকারী সাহায্য। অসহায় মানুষের লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া ঘর গুলো এখনও লন্ড ভন্ড ভাবেই পরে আছে। ঘর গুলো মেরামত করার মত টাকাও নেই তাদের কাছে বলে জানান অসহায় স্বপন।
স্বপন জানান, আমার বাড়ী মহেশপুর পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের গোপালপুর গ্রামে। তিনি তার হামিদপুর পাড়ার নানা এরশাদ আলীর বাড়ীতে কোন রকম একটি টিন দিয়ে খুবড়ী ঘর বেধে বসবাস করেন। আম্পানের আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে যায় আমার সেই ঘরটি। ফলে আমার আর সে ঘরটি মেরামত করা হয়নি। তিনি আরো জানান, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাহায়্যের জন্য লিখিত আবেদনসহ স্বানীয় মেয়র বা সংসদ সদস্যেও কাছে দিয়েও আমার ঘর মেরামতের জন্য কোন কিছুই জোটেনি। জুটেছে সুধুই আশ্বাস।
গোপালপুর গ্রামের লালবানু বেগম জানান, আমি সামান্য বেতনে একটি পল্টিফার্মে কাজ করি। যা বেতন পাই তা দিয়েই চলে আমার সংসার। ঝড়ে পড়ে যাওয়া আমার ঘরটি পর্যন্ত মেরাতম করতে পানেনি। শুনেছি সরকার আমাদের ঘর মেরাতম করে দিবেন। লালবানু বেগম অনেক কষ্টে বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক কিছুই পাঠিয়েছেন। সে গুলো নেতারা আমাদেরকে না দিয়ে অন্যদেরকে দিয়েছেন। শুনেছি আমাদের ঘর নির্মানের জন্য সরকার টিন পাঠিয়েছে কিন্তু আমরা পাইনি।
এমনি ভাবে গোপালপুর গ্রামের আলী আকবার,ছানোয়ার,শহিদুল ইসলামের মত মহেশপুরের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার সরকারের দেওয়া কোন সাহায্যই পাইনি এখনও।
বৃস্পতিবার (২০ মে) মহেশপুর উপজেলা পরিষদ চত্তরে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া মহেশপুরের ২২০ জন পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শফিকুল আজম খান চঞ্চল। তাহলে এখনও অসহাই ৫০০ পরিবার কি সরকারের কোন সাহায্যই পাবেনা?
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে মহেশপুর উপজেলা পরিষদ চত্তরে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া মহেশপুরের ২২০ জন পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শফিকুল আজম খান চঞ্চল। তাহলে এখনও আম্পানের তান্ডবে লন্ড ভন্ড হয়ে ৫০০ পরিবারের কপালে কি সরকারের সাহায্য জোটবেনা।
পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর বাবুল আক্তার জানান, কবে কখন ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়া অসহাই পরিবারের তালিকা তৈরী করা হয়েছে তা আমার জানানেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুন নেছা জানান, অনেক উপজেলাতে এখন আম্পানে ক্ষতি গ্রস্তদেরকে কিছুই দেওয়া হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল আজম খান চঞ্চল নিজে ডিও লেটার দিয়ে নিজে তদবির করে নিয়ে এসেছে বলে আমরা মহেশপুরে ২২০টি পরিবারকে টিনসহ ঘর নির্মানের টাকা দিতে পেরেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল জানান, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়ার পর ৫ শতাধিক সাহায়্যের আবেদন পরেছিলো। আমরা মাত্র ২২০ পরিবারেকে ঘর নির্মানের জন্য টিন দিয়েছি। তবে পরে টিন আসলে ক্ষতিগ্রস্থরা অবশ্যই পাবে।

One thought on “মহেশপুরে আম্পানের তান্ডবে লন্ড ভন্ড হয়ে যাওয়ার এক বছর পার হলেও এখনও অনের অসহায় মানুষের কপালে জোটেনি সরকারী কোন সাহায্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *