মহেশপুরে ইটের ভাটায় যাচ্ছে বিলের মাটি, পাড়া-মহল্লাবাসী ধুলোই অন্ধকার-প্রশাসন নিরব

Share Now..

মহেশপুর প্রতিনিধিঃ
পাড়া-মহল্লার মানুষের ভোগান্তি দিয়ে শাড়িবদ্ধ ভাবে টলিতে করে বিল খননের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটের ভাটায়। রাস্তার পাশের বাড়ীর মহিলারা সকালে ও দুপুরের ভাত পর্যন্ত রান্না করে খেতে পাচ্ছেননা মাটি বহনের টলির কারনে। যখন মাটি বোঝাই টলি গুলো যাচ্ছে তখন পুরো এলাকাটা ধুলোই অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। সে কারনেই পাড়া-মহল্লার মানুষের ঘরে এখন শুধু ধুলো আর ধুলো। এদিকে প্রশাসনও রয়েছে একেবারেই নিচ্ছুপ হয়ে।
এদিকে ইটের ভাটা মালিক মিজানুর রহমান টাকা বিনিময়ে ধরাকে শড়াজ্ঞান করে চলেছেন। এলাকার মানুষের ভোগান্তি হলে তার কিছুই যায় আসেনা বলে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক টলি চালক জানান, পাড়ামহল্লার ভিতর দিয়ে মাটি বহনের সময় মহল্লা বাসীর অকেন কষ্ট হচ্ছে যানি তার পরও কিছুই করার নেই। টলি চালক আরো জানান, প্রতি টলি মাটি ভাটা মালিক ১৮০ টাকা দরে বিলের মালিকদের কাজ থেকে ক্রয় করছেন। গড়ে আমরা প্রতিদিন ২ থেকে ৩শ’গাড়ি মাটি বিল থেকে ভাটায় নিয়ে যাচ্ছি।
পাতিবিলা বিলপাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, যখন মাটি বোঝাই টলি গুলো যাচ্ছে তখন আমাদের বাড়ীর মহিলারা আর রান্না করতে পাচ্ছেনা। আমরা বিলের মালিক শ্যামাপদ হালদার,আব্দুর রহমান ও শাহাজান আলীর কাছে অনেক বার গিয়েছি পাড়ামহল্লার অসুবিধার কথা গুলো বলার জন্য কিন্তু আমাদের কোন কথায় তোয়াক্কা করছেননা বিলের মালিক পক্ষ।
বিলপাড়ার বাসিন্দা হাজেরা খাতুন জানান, যখন মাটি বোঝাই টলি গুলো যাচ্ছে তখন পুরো এলাকাটা ধুলোই অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আমরা সকালের ও দুপুরের ভাত পর্যন্ত রান্না করতে পারছিনা। আমরা কারকাছে যাবো আমাদের এ কষ্টের কথা গুলো বলতে। পৌর মেয়র ও পৌর কাউন্সিলররা রয়েছেন ভাটা মালিকের পক্ষে।
পৌর কাউন্সিলর আবুল হাসেম পাঠান এলাকাবাসীরদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে জানান আমি পৌর মেয়রকে জানানোর পরও মেয়র এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। বরং মেয়র আব্দুর রশিদ খান বিলের মালিকদের পক্ষ নিয়ে বলেছেন আমার রাস্তা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বিলের মালিকরা রাস্তা মেরামত করে দেবেন। কিন্তু পাড়া-মহল্লার মানুষের ভোগান্তির কথা মেয়র কিছুই বলেননি।
পাতিবিলা বিলের মালিক শাহাজান আলী জানান, ঠিক কতটায় টলি প্রতি ইটের ভাটা মালিকের সাথে চুক্তি হয়েছে তা আমার জানানেই। আব্দুর রহমানই ঠিক করেছেন। তবে ১৮০টাকার মতই হবে। তিনি আরো জানান, রাস্তার পাশদিয়ে গাড়ি গেলেতো একটু ধুলা উড়তেই পারে এতে আমাদের কি করার আছে।
ইটের ভাটা মালিক মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ইটের ভাটায় পাওয়া যায়নি। এমনকি মিজানুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলার টেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান জানান, টলিতে করে বিলের মাটি বহনের সময় আমার রাস্তা ভেঙ্গে গেলে বিলের মাকিরা রাস্তা ঠিক করে দেবে। আর পাড়া মহল্লার মানুষের তো একটু কষ্ট হবেই। রাস্তাদিয়ে টলি গেলেতো আর পারি উড়বেনা ধুলোই উড়বে। আর মহল্লা বাসীকে তো একটু ধুলো ক্ষেতেই হবে। এতে আমার কিছুই করার নেই।

1,149 thoughts on “মহেশপুরে ইটের ভাটায় যাচ্ছে বিলের মাটি, পাড়া-মহল্লাবাসী ধুলোই অন্ধকার-প্রশাসন নিরব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *