মহেশপুরে এক গৃহবধুকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন হাসপাতালে ভর্তি।
স্টাফ রিপোর্টার,মহেশপুরঃ
নিজের সুখের কথা চিন্তা করে ভিটা জমি বেঁচে স্বামীর হাতে ২লক্ষ টাকা দিয়েও স্বামী ও তার বাড়ীর লোক জনের নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি এক হতভাগ্য এতিম নারী। তাকে রাস্তার উপর ফেলে মধ্যযুগিও কায়দায় উলুঙ্গ করে লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে । পরে তাকে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নির্যাতিত গৃহবধুর চাচাতো বোন রংমালা বেগম জানান. আমার বোন মাফুজা খাতুন কে ৪বছর আগে মান্দারতলা গয়াশপুর গ্রামের রুপচাঁন এর সাথে বিয়ে হয়। তার পর থেকে তাকে প্রতিনিয়ত মারধর করে। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে তার নামে ভিটা জমি বিক্রি করে ২লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। তার পরও তার নির্যাতন থেমে নেই রুপচাঁন তার বোন নুরজাহানের কথা শুনে মারধর করে যায়। গত ৪দিন পূর্বে আমার বোন কে যাদবপুর মহেশপুর হাইওয়ে রাস্তার উপর ফেলে উলুঙ্গ করে ব্যপক মারপিট করে ফেলে রাখে পরে আমরা সংবাদ পেয়ে বোন কে হাসপাতালে ভর্তি করি।
গৃহবধু মাফুজা বেগম বলেন আমাকে বিয়ের পর থেকে স্বামী রুপচাঁন বোনের কথা মত মারপিট করে। আমি তাকে ২লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার পরও নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি। গত ৪দিন পূর্বে বাড়ীর সব কাজকর্ম শেষ করার পর আমাকে পানিতে নেমে পাট ছুলতে বলে আমি অসুস্থ থাকার কারনে পাট ছুলতে না যাওয়াই আমাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে ফেলে রাখে ।