মহেশপুরে দুই দিনে তিন রাসেল ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে \ আতংকে কৃষকরা
\ স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ \
ভারত সীমান্ত ঘেষা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা দুই দিনে তিনটি রাসেল ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একটি সাপ বনবিভাগ উদ্ধার করতে পারলেও দুইটি গ্রামবাসি মেরে ফেলেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দীর্ঘদিন জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন। এদিকে সীমান্তের গ্রামগুলোতে এই বিষাক্ত সাপের দেখা মেলায় কৃষকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মহেশপুরের নেপা গ্রামের আহসান হাবিব জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকালে ভারত থেকে আসা ইছামতি নদীতে মাছ ধরার জন্য দুয়াড়ি পাতেন পেপুলবাড়িয়া গ্রামের উজ্জল হোসেন। কিছুক্ষণ পরেই দেখেন দুয়াড়ির মধ্যে একটি সাপ। সাপটিকে তিনি জ্যন্ত ধরে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে মহেশপুর বনবিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম নিয়ে যান অবমুক্ত করার জন্য। একই দিন মহেশপুরের মাইলবাড়িয়া গ্রামে শিশুরা একটি সাপ দেখেতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। গ্রামবাসি সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে সাপটি রাসেল ভাইপার বলে সনাক্ত হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) মহেশপুরের কাঞ্চনপুর-হুদাপাড়া গ্রামের কৃষকরা ফুলের ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে একটি রাসেল ভাইপার দেখতে পান। সাপটিকে কৃষকরা পিটিয়ে মেরে ফেলে। জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা পরিবেশবিদ নাজমুল হোসেন জানান, ২০ বছর আগে স্থানীয় ভাবে চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত রাসেল ভাইপার সাপটির দেখা মিলতো। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাসেল ভাইপার সাপটি আবার এলাকাবাসির নজরে পড়তে থাকে। তিনি আরও জানান, এখন প্রতিনিয়ত মহেশপুরের সীমান্তঘেষা গ্রামগুলোতে রাইসেল ভাইপার সাপ দেখা যাচ্ছে। ভারতের ইছামতি নদী দিয়ে এই সাপ আগেও যেমন আসত এখনও আসছে বলে তিনি জানান। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর বনবিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে তা মোকাবেলা করার জন্য আমরা জনগণকে সচেতন করছি। সাপগুলো না মেরে বন বিভাগকে খবর দেবার জন্য বলা হচ্ছে। তিনি বলেন এখন বর্ষা মৌসুম। সব প্রজাতির সাপের বংশ বিস্তারের সময়। যে কারণে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ গর্ত থেকে বেরিয়ে বাইরে বিচরণ করছে। এতে জনগণকে আতংকিত না হয়ে সচেতন ও সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন এই বন কর্মকর্তা।
Superb, what a web site it is! This web site provides helpful facts to us, keep it up.