মহেশপুর এক ঘরে কিশোর কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শনিবার সকালে আবু সাইদ (১৭) ও সোহানা খাতুন (১৪) নামে দুই কিশোর কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ দুইটি একই আড়ায় ঝুলে ছিল। মেয়েটি নিজের ওড়না আর ছেলেটি গামছা বাধা অবস্থায় ছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় এই কিশোর প্রেমিক প্রেমিকা এক সঙ্গে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আবু সাইদ চাপাতলা গ্রামের আবু সুলতানের ছেলে। অন্যদিকে সোহানা খাতুন নেপা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের শাহাজামালের মেয়ে। সে কাঞ্চনপুর হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। তারা সম্পর্কে বেয়াই বিয়াইন। স্বরুপপুর ইউনিয়নের চাপাতলা গ্রামের মেম্বর মোমিনুল ইসলাম জানান, আত্মহননকারী আবু সাইদ তার চাচাতো ভাই আল-আমিনের শ্যালিকা সোহানা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে। কথাটি জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। হয়তো এই কারণেই তারা আত্মহত্যা করতে পারে। মেম্বর মোমিনুল ইসলাম আরো জানান লাশ দুইটি সোহানার দুলাভাই আল আমিনের আরেকটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে ছিল। শনিবার সকালে দুইটি লাশ এক সঙ্গে ঝুলতে দেখে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মহেশপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। দুই জনের শরীরে কালশিটে দাগ ও রক্ত ছিল প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন। সোহানার বোন শেলী খাতুন জানান, স্কুল বন্ধ থাকার কারণে গত দেড় মাস ধরে সোহানা তার বাড়িতেই ছিল। এই সুযোগে হয়তো তার চাচাতো দেবর সাইদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তাই বলে তারা এ ভাবে মারা যাবে তা কল্পনা করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

One thought on “মহেশপুর এক ঘরে কিশোর কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ

  • March 22, 2024 at 12:13 am
    Permalink

    Wow, wonderful blog layout! How long have you ever been blogging for?
    you make blogging glance easy. The full glance
    of your site is wonderful, as smartly as the content!
    You can see similar here najlepszy sklep

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *